জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হৃদয়ের কঠোরতা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০১, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ২ কার্তিক ১৪২৯

অন্তরের কোমলতা ঈমানের বৈশিষ্ট্য। কোমল হৃদয়ের মানুষেরা সাধারণত লজ্জাশীল হয়, আল্লাহর আদেশ-নিদেশ পালনে যত্নবান হয়। এর বিপরীতে যাদের অন্তর কঠোর হয়, তারা নির্লজ্জ ও অসভ্য প্রকৃতির হয়, তারা মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, যা জাহান্নামিদের স্বভাব। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লজ্জা-সম্ভ্রম হচ্ছে ঈমানের অঙ্গ, আর ঈমানের (ঈমানদারের) জায়গা জান্নাতে।

 

নির্লজ্জতা ও অসভ্যতা হচ্ছে দুর্ব্যবহারের অঙ্গ, আর দুর্ব্যবহারের (দুর্ব্যবহারকারীর) জায়গা জাহান্নামে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০০৯)
বিশেষ করে যারা আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল থাকে, ধর্ম থেকে দূরে থাকে, তাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়। এ জন্য মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে এ ধরনের কাজের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। যেসব গোত্রের মধ্যে এ ধরনের অভ্যাস ছিল, সতর্ক করার উদ্দেশ্যে তাদের নামও উল্লেখ করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, উকবাহ ইবনে আমর আবু মাসউদ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) নিজ হাতের দ্বারা ইয়েমেনের দিকে ইশারা করে বলেন, ঈমান এদিকে। দেখো কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য ওই বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উট নিয়ে ব্যস্ত থাকে যেখান থেকে শয়তানের শিং দুটি উদয় হয় অর্থাৎ রাবীয়াহ ও মুজার গোত্রদ্বয়ের মধ্যে। (বুখারি, হাদিস : ৩৩০২)

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মনের কঠোরতা ও অন্তরের নিষ্ঠুরতা পূর্ব দিকের মানুষের মধ্যে আর ঈমান হিজাযবাসীদের মধ্যে। (মুসলিম, হাদিস : ৯৭)
এ জন্য আমাদের উচিত অন্তরের পবিত্রতা ও কোমলতা অর্জনে সচেষ্ট হওয়া। বেশি বেশি আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকার চেষ্টা করা। ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দেবেন এবং অন্তরের কঠোরতা দূর করে দেবেন।

Share This Article