চিকিৎসায় নিরাময়যোগ্য রোগ ব্রেস্ট ক্যানসার

  অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৪, শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ৩০ আশ্বিন ১৪২৯
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন

ক্যানসারের অনেকগুলো ধরণ আছে। প্রত্যেকটি ধরণই মারাত্মক। তবে এর চিকিৎসাও আছে। এসব ধরণের মধ্যে অন্যতম স্তন বা ব্রেস্ট ক্যানসার। বিশেষ করে নারীদের জন্য। 

স্তন ক্যানসার স্তন কোষে বিকশিত হয়। এটি স্তনের লোবিউল বা নালীতে সৃষ্টি হয়। স্তন লোবিউল হল সেই গ্রন্থি যেখানে বুকের দুধ (নারীদের ক্ষেত্রে) উৎপন্ন হয়। এই দুধ লোবিউল থেকে স্তনবৃন্তে স্তন নালী নামে পরিচিত পাতলা নল দ্বারা পরিবাহিত হয়। স্তন ক্যানসার তন্তুযুক্ত স্তনের টিস্যুতেও বিকশিত হতে পারে। এ টিস্যুকে স্ট্রোমাল টিস্যুও বলা হয়। ক্যানসার কোষ সুস্থ স্তন টিস্যু আক্রমণ করে এবং বাহুতে লিম্ফ নোডগুলোতে বিস্তার লাভ করে। স্তনের ক্যানসার হয় যখন কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী জিনে মিউটেশন হয়। এই মিউটেশনের কারণে কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। এসব কোষ সুস্থ কোষগুলোকেও প্রভাবিত করে এবং তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

** লক্ষণ

* স্তনে চাকা

* স্তনবৃন্ত থেকে রক্তপাত

* স্তনের চামড়ার রঙের পরিবর্তন

* অ্যাক্সিলারি বা বগলে চাকা

* উল্টানো স্তনবৃন্ত

* স্তনের আকৃতি বা আকারে হঠাৎ পরিবর্তন

* স্তনবৃন্ত বা স্তনের চামড়া খোসার মত হওয়া

* স্তনের রঙ লাল হয়ে যওয়া

* বুকের দুধ ছাড়া স্তনবৃন্ত থেকে অস্বাভাবিক তরল স্রাব নির্গত হওয়া।

* স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা

স্তন ক্যানসারের ধরন, পর্যায়, টিউমারের আকার ও রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। সার্জারি স্তন ক্যানসারের চিকিৎসার সাধারণ পদ্ধতি।

* অস্ত্রোপচার

স্তনের টিউমার অপসারণের জন্য অনেক ধরনের অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-

* লাম্পেকটমি : টিউমার এবং আশপাশের কিছু টিস্যু অপসারণ করা হয়।

* মাস্টেকটমি : এক্ষেত্রে পুরো স্তন অপসারণ করা হয়। ডাবল মাস্টেকটমি মানে উভয় স্তন অপসারণ।

* সেন্টিনেল নোড বায়োপসি : স্তনের টিউমার থেকে কয়েকটি লিম্ফ নোড কেটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। যদি ক্যানসারের রিপোর্ট নেগেটিভ হয়, লিম্ফ নোড অপসারণের জন্য কোন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না।

* অ্যাক্সিলারি লিম্ফ নোড অপারেশন : যদি সেন্টিনেল নোড বায়োপসির সময় অপসারিত লিম্ফ নোডগুলোতে ক্যানসার ধরা পড়ে, চিকিৎসক অতিরিক্ত লিম্ফ নোডগুলো অপসারণ করতে পারেন।

* কনট্রালট্রাল প্রোফিল্যাকটিক মাস্টেকটমি : একটি স্তনে ক্যানসার ধরা পড়লেও কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ স্তনও সরিয়ে নেয়া হয়।

* বিকিরণ থেরাপি : এ পদ্ধতিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিকিরণ রশ্মি ক্যানসার কোষগুলোকে লক্ষ্য করে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়। এ চিকিৎসায় সাধারণত একটি বড় মেশিন ব্যবহার করা হয়।

* ব্র্যাকিথেরাপি

এ পদ্ধতি শরীরের ভেতর থেকে ক্যানসার অপসারণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে টিউমারের স্থানের কাছে শরীরের ভেতর অল্প সময়ের জন্য তেজস্ক্রিয় বীজ বসানো হয় এবং এভাবে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করা হয়।

* কেমোথেরাপি

এ পদ্ধতিতে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এ চিকিৎসা প্রায়ই ক্যানসার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের সাথে ব্যবহৃত হয়। ক্যানসার কোষগুলোকে সঙ্কুচিত করার জন্য অস্ত্রোপচারের আগে কেমোথেরাপি করা যেতে পারে, যাতে পরবর্তীতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেগুলো সহজেই অপসারণ করা যায়।

* হরমোন থেরাপি

হরমোন থেরাপি বা হরমোন-ব্লকিং থেরাপি সেই স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা হরমোনের প্রতি সংবেদনশীল। হরমোন থেরাপি ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন (নারীদের সেক্স হরমোন) উৎপাদন বা ক্যানসার কোষের হরমোন রিসেপ্টরগুলোতে কিছু ওষুধ ব্যবহার করে ব্লক করতে সাহায্য করে। এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা ক্যানসারের বৃদ্ধি ধীর বা বন্ধ করতে সাহায্য করে।

* লক্ষ্যযুক্ত বা টারগেটেড থেরাপি

এ পদ্ধতির চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

* ইমিউনোথেরাপি

বিশেষ ক্ষেত্রে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হয়। ক্যানসার কোষ প্রোটিন তৈরি করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় ও শরীরকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা দেয়। এ ধরণের চিকিৎসাকে ইমিউনোথেরাপি বলে।

* উপশমকারী (সহায়ক) যত্ন

এটি একটি বিশেষ চিকিৎসা সেবা যা ব্যথা ও এ গুরুতর অসুস্থতার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্যানসার রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অন্যান্য চিকিৎসার সাথে উপশমকারী চিকিৎসাও দেয়া হয়।

কারা ঝুঁকিতে আছেন

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে

* মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন

* স্তনে কোনো রোগ ও ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে

* যাদের পরিবারে ব্রেস্ট ক্যানসারের ইতিহাস আছে

* বিকিরণ এক্সপোজার

* স্থুলতা

* ১২ বছর বয়সের আগে মাসিক শুরু হওয়া

* বিলম্বিত মেনোপজ (মাসিক বন্ধ হওয়া)

* অধিক বয়সে সন্তান প্রসব

* যে বিবাহিত নারীর কখনো সন্তান হয়নি

* অ্যালকোহল সেবন

* ধূমপান

* গর্ভনিরোধক বড়ির দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার

* মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন প্রতিস্থাপনের জন্য পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে হরমোন ওষুধ গ্রহণ।

কীভাবে নির্ণীত হয়

স্তন ক্যানসার নিশ্চিত করার জন্য নিুলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয়-

* স্তন পরীক্ষা : স্তন এবং বগলে লিম্ফ নোড-দুটোই পরীক্ষা করে কোন গলদ বা অস্বাভাবিকতা আছে কি না সেটা দেখা।

* ম্যামোগ্রাম : এক ধরনের এক্স-রে। এটি একটি স্ক্রীনিং পদ্ধতি।

* এমআরআই স্ক্যান : স্তনের ছবি তুলতে শক্তিশালী চুম্বক এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।

* বায়োপসি : সন্দেহজনক বা আক্রান্ত টিস্যুর একটি ছোট অংশ অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরীক্ষাগারে এ স্যাম্পল পাঠানো হয়। এটি স্তন ক্যানসার নির্ণয়, কোষের ধরন এবং ক্যানসারের গ্রেড নির্ধারণ করে। (ক্যান্সারের গ্রেড শুন্য থেকে চার পর্যন্ত, গ্রেড শুন্য অ-আক্রমণকারী ক্যানসার নির্দেশ করে এবং চতুর্থ পর্যায়টি মেটাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসারকে নির্দেশ করে অর্থাৎ এমন ক্যানসার যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে)।

স্তন ক্যানসারের কারণ

অনেক কারণেই স্তন ক্যানসার হতে পারে। সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে কিছু গবেষণায় জানা গেছে-

* স্তন ক্যানসার হয় যখন মিউটেটেড কোষ (কোষের ডিএনএ সিকোয়েন্সের পরিবর্তন) নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেড়ে যায় এবং টিউমার গঠন করে।

* এ মিউটেশন হয় সোমাটিক (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নয়) অথবা জেনেটিক (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত) কারণে।

* জিনগত পরিব্যক্তি

স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনগত পরিব্যক্তিও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী। এমনকি বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫-১০% স্তন ক্যানসার জিনগত পরিব্যক্তির কারণেই হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, যেসব নারীদের ৫০ বছরের আগেই স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছে তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার হওয়ার আশংকা ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

অন্যক্ষেত্রে যেসব নারীর স্তন ক্যানসার ৫০ বছর বা তারপরে গিয়ে ধরা পড়েছে সেখানে এ সংখ্যাটি নেমে ১.৪ শতাংশ হয়ে যায়। আবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যেসব মহিলার আত্মীয়দের মধ্যে স্তন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে শূণ্য, এক বা দুই সেসব ক্ষেত্রে তাদের ৮০ বছরের আগে স্তন ক্যানসার হওয়ার আশংকা যথাক্রমে ৭.৮%, ১৩.৩% এবং ২১.১%।

শুধু তাই নয়, এসব ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারের কারণে মৃত্যুহারের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৩%, ৪.২% ও ৭.৬%।

এমনকি যেসব নারীর নিকটাত্মীয়দের মধ্যে যদি কারো স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে তবে তাদের ৪০-৫০ বছরের মধ্যে স্তন ক্যানসার হওয়ার আশংকা সাধারণ মানুষের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ৫% এর কম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, জিনগত পরিব্যক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

জটিলতা ও প্রতিরোধ

** স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় জটিলতা

* ক্লান্তি

* সংক্রমণ বা ইনফেকশন

* রক্তপাত

* ক্ষত বা ঘা

* ঘুমের ব্যাঘাত

* চুল পড়া

* বিষণ্নতা

* হার্টের ক্ষতি

* ফুসফুসে প্রদাহ

* রক্ত জমাট বাঁধা

* স্তনে ব্যথা

* স্তন ফুলে যাওয়া

* বাহু ফুলে যাওয়া (লিম্ফ নোড অপসারণের পর)

* স্তনে ব্যথা (চুলকানি, চাপ, ধড়ফড় ও স্তনের মধ্যে পিনবিদ্ধ হওয়ার অনুভূতি)

উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

** স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ

* যে কোনো ক্যানসার প্রতিরোধে ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

* নারীদের নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

* নিয়মিত স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্রাম স্তন ক্যানসার স্ক্রীনিং এবং চিকিৎসায় সাহায্য করে।

* চিকিৎসকের পরামর্শে পোস্টমেনোপজাল হরমোন থেরাপি সীমিত আকারে গ্রহণ করা ভালো।

* যেসব মা শিশুদের বুকের দুধ পান করান তাদের স্তন ক্যানসার সাধারণত হয় না।

* জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন ফরমালিন ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ফল, রং ও ইউরিয়া মেশানো খাবার ৩৫ শতাংশ ক্যানসারের জন্য দায়ী।

* স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।

কিছু কথা

বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যানসার। আমাদের কোষগুলোর বৃদ্ধি যখন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে তখন টিউমারের সৃষ্টি হতে পারে। কোন কোন টিউমার থেকে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি হয়। কোষের ভিতরের জিনের পরিবর্তনের কারণে ক্যানসার হয়। ক্যানসার কোষ খুব দ্রুত শরীরের এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে নারীদের প্রধান ক্যানসার হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যানসার। দেশে প্রতি ৪ মিনিটে একজন নারী ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিৎসা করান এবং প্রতি ১৩ মিনিটে এ ক্যানসারে আক্রান্ত একজন নারীর মৃত্যু হয়। ৮০ ভাগ ব্রেস্ট ক্যানসারই ৫০ বছরের বেশি বয়সে ধরা পড়ে। পুরুষরাও কিন্তু এ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন।

ক্যানসার ধনী, দরিদ্র, নারী, পুরুষ ও শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে অধিকাংশ ক্যানসার রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। আমাদের দেশে ক্যানসারের প্রতিরোধ, নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি, যদিও বিগত কয়েক দশকে ক্যানসার চিকিৎসার প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। সূচনায় ক্যানসার নির্ণয় না হওয়ায় চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। কিন্তু রোগী যখন বিশেষজ্ঞদের কাছে যান, তখন সুচিকিৎসার জন্য আর তাদের পর্যাপ্ত সময় থাকে না।

আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) ২০১৮ সালের প্রাক্কলিত তথ্য মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ নতুন ক্যানসারের রোগী রয়েছে। যার মধ্যে ৮৩ হাজার পুরুষ ও ৬৭ হাজার নারী। নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার, জরায়ুমুখের ক্যানসার, মুখ ও গলার ক্যানসার বেশি। অন্য দিকে পুরুষের মধ্যে ফুসফুস, স্বরতন্ত্র, মুখ ও মুখগহ্বর, খাদ্যনালী, মূত্রথলি, কিডনি ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।

লেখক : সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান, অনকোলজি বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, অনকোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

বিষয়ঃ WHO বাংলাদেশ

Share This Article