বাংলাদেশ পারে : আবেগাপ্লুত বঙ্গবন্ধু কন্যা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। বৃহৎ এ অবকাঠামো উদ্বোধনের তারিখও চূড়ান্ত। এই অর্জন ও কৃতিত্বের একমাত্র দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ধন্যবাদ জানাতে ৮ জুন জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে সেই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা উচ্ছসিত হয়ে টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
এমন দৃশ্যের অবতারণা দেখে আপ্লুত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশ ও দেশের মানুষকে আমরা ভালোবাসি। ক্ষমতা আমার কাছে বড় কিছু না। ক্ষমতা আমার কাছে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ।দেশের মানুষ যেন দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে সে চেষ্টাই করেছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ড. ইউনূস তার একটা এমডি পদের লোভে বিশ্ব ব্যাংককে দিয়ে, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করিয়েছিলেন। আমি কিন্তু থেমে যাইনি। সততা ও দেশের জনগণই আমার শক্তি। দেশের মানুষকে অপমান করে কোনো কিছু করবো না। যখনই সেতু নির্মাণ শুরু করি তখনই সবার টনক নড়ে। তখন দেশকে সবাই সমীহ করতে শুরু করে। সবাই দেখল বাংলাদেশ পারে।
ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল আমরা এখানে আপোষ করব, আমি শেখ মুজিবের মেয়ে এটা মনে রাখবেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি, করবও না।
জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না। কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারেনি। পারবেও না ইনশাআল্লাহ। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।