‘মানুষ সচেতন হলে অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন-পরিবেশন বন্ধ হবে’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ সচেতন হলে অনিরাপদ খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হবে।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরে নওগাঁর পোরশায় ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধান প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক ভালো সবজি উৎপাদন হয়। এসব খাদ্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি খাবেন তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। তাই সুস্থ-সবল জাতি গঠনে সবাইকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব। এটি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যারা খাবারে ভেজাল দেয়, যারা ভেজাল খাবার তৈরি তাদের বিরুদ্ধে সবার সজাগ থাকতে হবে। ভেজাল খাবার তৈরি ও পরিবেশন যারা করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করা নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তিনি।
যদি কেউ ফরমালিনসহ অন্য যে কোনো অনুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইনে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ফরমালিনের যে কোনো অনুমোদিত ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, গ্রহণ ও পরিবেশন এবং বেশি লাভের আশায় হোটেল ব্যবসায়ীদের পচা, বাসি খাবার বিক্রি না করার আহবান জানান তিনি।