৩০ বছরের আগে বিয়ে না করাই ভালো: সাবা
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন সোহানা সাবা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর পাশাপাশি তিনি একজন ভ্রমণ পিপাসু। যার প্রমাণ মেলে তার ফেসবুকে। কাজ ও সমাসমায়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
শুরুতেই জানতে চাই ব্যস্ততা প্রসঙ্গে?
এই মুহূর্তে আমার বন্ধুদের নিয়ে বিটিভি’র সাপ্তাহিক সেলিব্রেটি শো ‘তারার মেলা’র কাজ করছি। আর আমার ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’র কাজ তো আছে। আরটিভি’র ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি কাজ করছি। এই মুহূর্তে এই কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। কিছুদিন পরই বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে।’
সিনেমার কাজগুলো কি শেষ?
গুণী অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসের ‘অসম্ভব’ ছবির কাজ শেষ করেছি। আরেক গুণী অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’র কাজও শেষ করেছি। পাশপাশি সম্প্রতি কলকাতার একটি ছবিতে কাজ করেছি। আরও দুটি ছবির বিষয়ে কথা চলছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি আপনি অনেক ভ্রমণ পিপাসু। এটা কি আপনার নেশায় পরিণত হয়েছে?
এক কথায় বললে, হ্যাঁ। অনেক মানুষের অনেক শখ থাকে। আমার শখ হচ্ছে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করা। অনেকেই আছে টাকা-পয়সা, জমি বা গহনা কিনতে পছন্দ করে। আমার এগুলোর প্রতি একেবারেই কোনো আকর্ষণ নাই। আমার পছন্দ ঘুরতে যাওয়া। এটা আমার নেশাও বলতে পারেন। আমি সময় সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। সম্প্রতি তুরস্ক ঘুরে আসলাম। সেখানে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। তাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়াও আমি যে কোনো দেশে গেলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী স্থান ও খাবারগুলোর পরখ করি। এটা আমার খুব ভালো লাগে।
একা একাই কি ঘুরতে যান?
না, আমার ভ্রমণে বেশ ক’জন নারী সঙ্গী আছে। মাঝে মধ্যে আমার ছেলেকেও নিয়ে যাই। আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করি। যখন থেকে একা থাকতে শুরু করেছি, তখন থেকেই এই নেশাটা আমার মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করে। শুধু বিদেশেই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেও আমাদের ঘুরতে যাওয়া হয়। আর রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতেও খুব ভালো লাগে। এ নিয়ে অনেক মজার ও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আমার ইচ্ছে, পৃথিবীর সব দেশে আমি হাঁটব।
একা একা আর কত, সঙ্গীকে নিয়ে কি হাঁটতে ইচ্ছে করে না?
সাত বছর ধরে আমি ছেলেকে (শুদ্ধ স্বরবর্ণ) নিয়ে একা আছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আর এখন এ নিয়ে কিছু ভাবছি না। তবে আমি পণ করিনি সারাজীবন একা থাকব। যখন সময় হবে তখনই সঙ্গী খুঁজে নেব। আরেকটা বিষয় আমি শোবিজে ক্লাস এইট-নাইন থেকে কাজ শুরু করি। এরপর শুধু কাজের মধ্যেই ছিলাম। আর বিয়ের পর আমার জীবনটা আরও ছোট হয়ে আসে। কিন্তু আমার বন্ধুরা, ওরা পড়াশোনার পর জীবনটা উপভোগ করার অনেক সময় পেয়েছে। আমি তখন সংসার আর অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। যাই হোক, সেসব বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। তবে আমি মনে করি, ৩০ বছরের আগে বিয়ে না করাই ভালো।
তাহলে আপনি কি বলছেন, জীবনে ভুল করেছেন?
না, এটা আমি বললাম না। কার সঙ্গে কার জুটি, সেটা আল্লাহ ঠিক করে রেখেছেন। আমার ভাগ্যে যা লেখা ছিল তাই হয়েছে। আমি বলতে চাই, বিয়ে মানে তো একটা লাইফটাইম ডিসিশন। তাই একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাহলে ভুলটা কম হয়। আমি মনে করি, একটু সময় নিয়ে সিদ্ধান্তটা নিলে আমার ভুলটা কম হতো।