বিদ্যুতের ব্যবহার: আগেভাগেই সতর্ক বাংলাদেশ!

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে বিদ্যুতের জ্বালানি সরবারহ কমেছে। এ কারণে বিশ্বের উন্নত ও বড় দেশগুলো যখন বিদ্যুত সাশ্রয় করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে মাত্র, তখন বাংলাদেশ রাত ৮ টার পর দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধের উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে।এমন মন্তব্য ভারতীয় একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এখন থেকেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে না পারলে যে কোন মুহুর্তে বিপদে পড়তে হতে পারে যেকোনো দেশকেই।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বড় কাঁচামাল হচ্ছে কয়লা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কয়লা সংকটে ভুগছে। এমনকি বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও কয়লা সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে খোদ ভারতই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুতের চাহিদার সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে, যদিও এতে তেমন ফল পাচ্ছে না ভারত। আর তাই বাংলাদেশের মতো ভারতেও রাতের নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার মতো প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বিশ্বে কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশ অস্ট্রেলিয়ায়ও বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে। দেশটির মোট বিদ্যুতের চার ভাগের তিন ভাগই উৎপাদন হয় কয়লা থেকে। তারপরও অস্ট্রেলিয়ায় বিদ্যুতের সংকট তৈরি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে অনেক বড় বড় দেশ। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেদেশে দু'ঘণ্টা করে বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আর ভারত বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জেনারেশন ক্যাপাসিটির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এই সব ব্যবস্থা চালু হতে আরও চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে রাত ৮ টার পর দোকান-পাট ও শপিংমল বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমাদৃত হয়েছে। সে সাথে এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে যেমনিভাবে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে তেমনই দেশের যানজটের সমস্যাও অনেকটা কমে আসবে। এতে সংকট সমাধানে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।