ইসির সাথে আলোচনায় বসতে রাজি বিএনপির একাংশ!

রাতে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এতে তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। আর সেখানেই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছে দলটির একাংশ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হলেও একদফা আন্দোলন থেকে পিছু হটছে না বিএনপি। বরাবরের মতোই সংঘাত-সহিংসতা চালিয়ে রাজপথ দখলের চেষ্টা দলটির। তবে সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী তৃণমূলের অনেকে। এমনকি নির্বাচন কমিশন বা ইসির সাথে আলোচনায় বসতে বিএনপির একাংশের নেতারা রাজি বলেও জানিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্রমতে, তফসিল ঘোষণা, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্দোলনের কৌশল ও নির্বাচন নিয়ে ১৭ নভেম্বর রাতে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এতে তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। আর সেখানেই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছে দলটির একাংশ। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলে যেন তফসিল পেছানো যায় এমন প্রস্তাবও দিয়েছেন একজন নেতা। কিন্তু এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি তারেক রহমান।
দলটির একাংশের নেতারা মনে করছেন, এভাবে আন্দোলন করে মোটেও নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। কেননা তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। আর তফসিলের পর নির্বাচন কমিশনের সহযোগী শক্তি হিসেবে রুটিন কাজ করে সরকার। এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কৌশল বদলে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে মাঠে এনে সুষ্ঠু নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের। এমন নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তাই ইসির সাথে আলোচনায় বসে এক ধরনের মীমাংসায় আসা উচিত।
সমালোচকরা বলছেন, বিএনপি নেতাদের অধিকাংশই নির্বাচনে যেতে চান। কারণ আরও ৫০ দিন আন্দোলনকে টেনে নেয়ার মতো শক্তি-সামর্থ্য ও রসদ কোনোটিই দলটির হাতে নেই। এছাড়া বিদেশিদের উসকানিতে রাজপথে সহিংসতা-রক্তক্ষয় চালালে দিনশেষে বিএনপিরই ক্ষতি। কারণ নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনের আগে সরব থাকলেও শেষে নীরব হয়ে যান বিদেশিরা। তাই অতীতের মতো ভুল না করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার কৌশল বেছে নেয়াই বিএনপির জন্য ভালো হবে বলেও মনে করছেন তারা।