বিরোধী নেতারা জেলে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এড়িয়ে চলায় বেকায়দায় পিটার হাস!

একদফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী সহিংসতার পর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাই তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ মিলছে না পিটার হাসের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও পিটার হাসকে এড়িয়ে চলছেন।
ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস নানা কারণে ঘন ঘন খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। কখনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে গিয়ে, এখনও সরকারের বিভিন্ন দফতরে গিয়ে অযাচিত কথা বলে নিজেকে আলোচনায় রাখছেন। তবে সম্প্রতি কিছু কারণে খোদ নিজেই এখন বেকায়দায় রয়েছেন।
একদফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী সহিংসতার পর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাই তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ মিলছে না পিটার হাসের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও পিটার হাসকে এড়িয়ে চলছেন। তাই বক্তব্য বিবৃতি দেয়ার মতো জায়গা পাচ্ছেন না তিনি। বাধ্য হয়ে সাবের হোসেনের মতো দ্বিতীয় সারির নেতাদের বেছে নিয়েছেন তিনি, যদিও সাবের হোসেন আওয়ামী লীগে বিশ্বস্ত হিসাবে চিহ্নিত নন।
এছাড়া আইন না মেনেই বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করছিলেন পিটার হাস। তার অতিকথনের কারণে ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমকেও জড়িয়ে ফেলেছিলেন, যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরও এ নিয়ে বিব্রত হয়। যার জন্য তিনি ‘কঠিন শাস্তি’ পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে তাকে প্রত্যাহারও করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে বিশেষ সূত্রটি।