পদ্মা সেতু কেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
পদ্মা সেতুর উপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেকেটাই নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সম্প্রতি তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেছেন এ সেতুর গুরুত্ব।
জয় লিখেছেন, ‘পদ্মাসেতুর ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এ সেতু যেমন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে, তেমনি কমপক্ষে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। ফলে লাভবান হবে পুরো দেশের মানুষ।’
সেতুর উপর ভর করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ হবে সহজ এবং দ্রুততর। গ্যাস, বিদ্যুৎ, অপটিক ফাইবার ইত্যাদি পরিবহনের ক্ষেত্রে ঘটবে অভাবনীয় পরিবর্তন।
সেতুর কল্যাণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার গড় দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মতো কমবে। নদী পার হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় বেঁচে যাবে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন : শাক-সবজি, মাছ ইত্যাদি পরিবহন খুব দ্রুত হবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মংলা সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর এর সাথ ঢাকার দূরত্ব অনেক কমে আসবে। ফলে দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি।
চীন এবং সিঙ্গাপুরের আদলে সেতুর দুই প্রান্তেই শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠছে। ফলে একদিকে যেমন শহরায়ন ঘটবে, অন্যদিকে সুযোগ সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।
সেতুকে কেন্দ্র করে অনেক দর্শনীয় স্থান এবং বিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে উঠবে। এর ফলে বাংলাদেশের জিডিপি এবং প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
সবশেষে জয় লিখেছেন, ‘আমার টাকায় আমার সেতু, দেশের জন্য পদ্মা সেতু’। অর্থাৎ বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আপনার-আমার-আমাদের নিজেদের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এ সেতুটি, যা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।’