মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের

‘ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায়— অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।’
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ নিয়ে ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী, সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায়— অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
‘তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না’, বিএনপির এই বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যেকোনও ষড়যন্ত্র করলে, জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনও যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন— তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।’
অক্টোবরে বিএনপির মরণ-কামড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মরণ-কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।’