জয়পুরহাটে মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

বিজিবি চেক পোস্টে একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করে রনি বাবুর শরীরে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ৫০ পিস অ্যাম্পুল পাওয়া যায়। ওই ঘটনার মামলায় বিচারক আজ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
জয়পুরহাটে মাদকের দুটি মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ। দণ্ডিতরা হলেন- আবু জাফর, মাজেনুর রহমান ও রনি বাবু। আবু জাফর জয়পুরহাট সদরের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মাজেনুর রহমান একই উপজেলার তেরগাতি গ্রামের বাসিন্দা। তারা ফেনসিডিল উদ্ধার মামলার আসামি। আর রনি বাবু পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অ্যাম্পুল উদ্ধার মামলার আসামি। রায় ঘোষণার সময় আবু জাফর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাজেনুর ও রনি বাবু পলাতক রয়েছেন।
আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই মঙ্গলবাড়ি-জয়পুরহাট সড়কে একটি ভটভটিকে থামার সিগন্যাল দেয় র্যাবের সদসরা। এ সময় চালক আবু জাফর ভটভটি থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভটভটির বস্তার মধ্যে ফেনসিডিল আছে বলে জানায়। এরপর তল্লাশি করে ১৯৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আবু জাফর এসব মাদক মাজেনুর রহমানের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছিল। এ ঘটনায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
অন্যদিকে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাঁচবিবি উপজেলার নওদা এলাকায় বিজিবি চেক পোস্টে একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করে রনি বাবুর শরীরে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ৫০ পিস অ্যাম্পুল পাওয়া যায়। ওই ঘটনার মামলায় বিচারক আজ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।