বাইডেনের নৈশভোজে শেখ হাসিনা : নাটকীয় কিছু ঘটবে কি?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের যে ভুল বোঝাবুঝিও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা এই সফরের মাঝেই মিটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন। এতে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য যে কোন বছরের চেয়ে এবারের অধিবেশনের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আমেরিকার মাটিতে নাটকীয় কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা!
২২সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। এসব অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিবেন তিনি।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের যে ভুল বোঝাবুঝিও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা এই সফরের মাঝেই মিটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের।
গত এক বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক বিবৃতি দিচ্ছে। র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপরশ্যাংসনের পর নতুন ভিসানীতিও চাপিয়ে দিয়েছে। এ কারণে প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে, অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে ভুল বার্তা পৌঁছেছে নিউইয়র্ক সফরের মাধ্যমে সেটার অবসান হবে।
তবে, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সামিট অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে সাক্ষাৎ হয়েছে, সেখানেই ঘটনার মোর ঘুরে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এছাড়া শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সাইমা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে বাইডেনের সেলফি বিনিময়ের ঘটনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
অনেকে ধারণা করছেন, জি-২০ সামিটের পর থেকেই আমেরিকার কঠোরতা অনেকটা শীতল হতে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদেরযে বৈরী মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে এই সফরে সেটার অবসান হতে পারে। দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিরসন হতে পারে।