ড. ইউনূসের নোবেল অবৈধ: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ!

ড. ইউনূস ও তার গ্রামীণ ব্যাংককে ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটি যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করে। তখন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে বিষয়টি অবগত করা হয়নি।
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। একের পর এক নাটকীয় কাণ্ড নিয়ে হাজির হচ্ছেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এর মধ্যে নোবেল প্রাইজ নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
সূত্রমতে, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল প্রাইজটি বাংলাদেশের সংবিধান লংঘন করে গ্রহণ করেছেন। সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত কোনো নাগরিক বিদেশি রাষ্ট্রের নিকট হতে উপাধি, সম্মান, পুরস্কার বা ভূষণ গ্রহণ করবে না। গ্রহণ করলে সেটি হবে সংবিধানের লঙ্ঘন।’
তথ্য মতে, ড. ইউনূস ও তার গ্রামীণ ব্যাংককে ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটি যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করে। তখন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে বিষয়টি অবগত করা হয়নি। অন্য সাধারণের মতোই গণমাধ্যম থেকে ইউনূসের নোবেল জয়ের খবরটি জানতে পারেন তিনি। এমনকি রাষ্ট্রপতির অনুমতি না নিয়েই তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন, যা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির তথা রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক বটে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি তথা রাষ্ট্রের অনুমতি ব্যতীত ড. ইউনূস পুরস্কারটি গ্রহণ করে এনেছেন, সেহেতু এ দেশের জন্য সেটি বৈধ নয়। বাংলাদেশ তাকে নোবেলজয়ীর মর্যাদা দিতে বাধ্য নয়, বরং এদেশে আইনের চোখে তিনি অপরাধী। কাজেই সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদহীতার অভিযোগ আনা উচিত।