বিশ্বের ৫ বিতর্কিত নোবেলজয়ী, আছেন ড. ইউনুসও!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৮, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৩ আশ্বিন ১৪৩০

জাতীয় জীবনের চরম সংকটকালে কোনো ভূমিকায় ড. ইউনূসকে দেখা যায় না। দেখা যায়নি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কখনো গরিবদের পাশে। শহীদ, বিজয় বা স্বাধীনতা দিবসে কখনো স্মৃতিসৌধেও দেখা যায় না তাকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেও তিনি কোনো ভূমিকা পালন করেননি।

নোবেল পুরস্কার বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৮৯৫ সালে বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল মানবজাতির কল্যাণকর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার চালু করেন। কিন্তু এ পদক পাওয়া বহু ব্যক্তিই এই পদকের মর্যাদা রাখতে পারেননি। করেছেন নিন্দনীয় কাজ, হয়েছেন বিতর্কিত বিশ্বের এমন ৫ জন বিতর্কিত নোবেলজয়ীর তালিকায় বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনুসও আছেন।

বারাক ওবামা: 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তার নোবেল পাওয়ায় খবরে ধাক্কা খেয়েছিলেন স্বয়ং ওবামামাসহ আরও অনেকে। অথচ ওবামার বিশ্বের কোথাও শান্তিরক্ষায় সামান্যতম অবদানও রাখেননি, বরং আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়াসহ নানান দেশে যুদ্ধের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছিলেন।

অং সান সুচি:

মিয়ানমারের অং সান সুচি দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল পান। কিন্তু এর কয়েক বছর পর রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন। রাখাইনের ঘটনাকে জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। এমনকি তার পদক প্রত্যাহারের দাবিও উঠে।  

আবি আহমেদ:

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ২০২০ সালে নোবেল পান। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সীমান্ত সংঘাত নিরসনের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই এ পুরস্কারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কারণ তিনি নিজের দেশেই টাইগ্রের উত্তরাঞ্চলে সেনা মোতায়েন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়েন। সেখানে লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হন এবং জাতিসংঘ একে ‘হৃদয় বিদারক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

হেনরি কিসিঞ্জার:

১৯৭৩ সালে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। কিন্তু কম্বোডিয়ায় বোমা বর্ষণ, দক্ষিণ আমেরিকায় সামরিক শাসনকে সমর্থনসহ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ইতিহাসে সবেচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকা কিসিঞ্জারকে এই পুরষ্কার দেওয়ায় অনেকের চোখ কপালে ওঠে। প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন নোবেল কমিটির দু’জন সদস্য। নিউইয়র্ক টাইমস পুরস্কারটিকে ‘নোবেল ওয়ার প্রাইজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস:

২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নোবেল পাওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠে। বিতর্কের মূল কারণ তিনি একজন অর্থনীতিবদ হওয়া সত্বেও তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়। 

অথচ জাতীয় জীবনের চরম সংকটকালে কোনো ভূমিকায় তাকে দেখা যায় না। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কখনো গরিবদের পাশে দাঁড়াননি। শহীদ, বিজয় বা স্বাধীনতা দিবসে কখনো তাকে স্মৃতিসৌধেও দেখা যায় না। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেও তিনি কোনো ভূমিকা পালন করেননি।

Share This Article


একহাজার কোটি টাকা ছাড়ালো পদ্মা সেতুর টোল!

ইউনুস ইস্যুতে 'অ্যামনেস্টি' কেন শ্রম আইনকে শ্রমিক অধিকার রক্ষার হাতিয়ার মনে করেনা?

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রেকর্ড বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা: ইইউ রিপোর্টার

‘তৃণমূল বিএনপি’: নতুন আতঙ্কে ‘আসল বিএনপি’

বেগমজিয়ার অসুস্থতা নিয়ে চূড়ান্ত স্বার্থ আদায় করতে চাইছে বিএনপি!

‘কাঁধে কাঁধ’ মিলিয়ে সংকট মোকাবিলার প্রত্যয় মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া’র!

বাইডেনের নৈশভোজে শেখ হাসিনা : নাটকীয় কিছু ঘটবে কি?

বিএনপির লাগাতার অবরোধ কর্মসূচী: নতুন শঙ্কায় ঢাকাবাসী

ড. ইউনূসের নোবেল অবৈধ: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ!

বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিয়ে রেজা কিবরিয়ার কটূক্তি : নিন্দার ঝড়

‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ নামেও বিএনপির আগুন-সন্ত্রাস!

পুনরায় ক্ষমতায় আসছে আওয়ামী লীগ: কৌশল পরিবর্তন জামায়াতের!