নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন জঙ্গি সংগঠনের উদ্ভব!

নির্বাচন এলেই দেশে জঙ্গিবাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এই সময়টায় কতিপয় রাজনৈতিক মহলও জঙ্গিদের ব্যবহারের চেষ্টা করে। অন্যদিকে জঙ্গিরা মনে করে, এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দিকে কম মনোযোগ দেবে।
গুলশানে হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনরীর একের পর এক সাঁড়াশি অভিযানে কমতে থাকে উগ্রপন্থি জঙ্গিদের শক্তি। কয়েক বছরেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল তারা। তবে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আবারও তৎপর হয়ে উঠছে জঙ্গিরা। আত্মপ্রকাশ ঘটেছে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ’র। নির্বাচনকে টার্গেট করে দেশে বড় ধরণের হামলার পরিকল্পনা ছিলো তাদের।
এটিইউয়ের ডিআইজি মোহা. আলীম মাহমুদ বলেন, নির্বাচন ঘিরে কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছিল যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির।
কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর, অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুয়েল মোল্লাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। বাকি দুজন হলেন- রাহুল হোসেন ও মো. গাজিউল ইসলাম।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন এলেই দেশে জঙ্গিবাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এই সময়টায় কতিপয় রাজনৈতিক মহলও জঙ্গিদের ব্যবহারের চেষ্টা করে। অন্যদিকে জঙ্গিরা মনে করে, এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দিকে কম মনোযোগ দেবে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে, যদিও গোয়েন্দারা বলছেন, বড় ধরনের হামলা করার মতো সক্ষমতা এখন আর জঙ্গিদের নেই। এরপরও তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না।
টোৱেবনির্বাচনের সময় জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আগে জঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য পুলিশের কোনো স্পেশাল ইউনিট ছিল না। সিটিটিসির কাজ জঙ্গিদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জঙ্গিরা আগের স্পেসটা পাবে না।