বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়: ইউনূস-আদিলুরকে প্রমাণ করতে হবে তারা নির্দোষ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩০, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২ আশ্বিন ১৪৩০

নিম্ন আদালতে অপরাধী মনে হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে যেকোনো নাগরিকের। কেননা আপিল করে অনেকেই রেহাই পেয়েছেন। অথচ সেই পথে না যেয়ে বিদেশিদের দিয়ে চাপ দিচ্ছেন ইউনূস-আদিলুর।

শ্রম আদালতে চলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার। আর আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় সাজা পান ‘অধিকার’র আদিলুর রহমান খান। কিন্তু দুজনের বিচার বন্ধ চেয়ে একের পর এক চিঠি বা বিবৃতি দিচ্ছেন ‘কথিত’ বিশ্বনেতারা। বাদ পড়েনি জাতিসংঘ আর ইউরোপীয় ইউনিয়নও। এ নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেও চলছে দেশি-বিদেশি নানান ষড়যন্ত্র। তবে আদালত'র নীতিমালা মেনেই ইউনূস-আদিলুরকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যমতে, শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতেই দেশের আদালতকে প্রভাবিত করতে ভিন্ন কৌশল বেছে নেন ড. ইউনূস। মাস কয়েক আগে ৪০ জন বিশ্বনেতাকে দিয়ে নিজের পক্ষে মার্কিন ‘দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে’ বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছেন তিনি। সবশেষ বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্টজনের নাম বসিয়ে মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দেন এই নোবেলজয়ী। এভাবে বারবার বিচার বিভাগকে অসম্মান করায় আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন অঙ্গনে। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষক-আইনজীবী কিংবা গুণীজনরাও।

এর পরপরই ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় তথ্য বিকৃতি করার মামলায় দণ্ডিত হন মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর ও পরিচালক এলান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের রায় হতেই ফের সোচ্চার হয় দেশি-বিদেশি নানান মহল। এরই মধ্যে ‘অধিকার’র এই সম্পাদককে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ১৭২ মানবাধিকার সংগঠন। আপত্তি আর উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি-ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও। মূলত আদালতে দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতেছেন ইউনূস-আদিলুর গংরা।

সূত্রমতে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করে প্রভাব খাটিয়ে স্বার্থ হাসিলের হেন অপচেষ্টা নেই, যা করেননি ইউনূস ও আদিলুর গংরা। ২০১৩ সালেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকাতে এমন অপচেষ্টা করেছিল জামায়াত। যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে চিঠি-বিবৃতি চালাচালি করেছে দলটি। কিন্তু আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং সরকারের দৃঢ় মনোভাবের কারণে সে সময় কাউকেই রক্ষা করতে পারেননি তথাকথিত বিশ্বনেতারা। কেননা রাজনৈতিক মাঠ আর আদালত এক জিনিস নয়। বিচার বিভাগ সব সময় নিজ গতিতেই চলে।

আইনপ্রণেতারা বলছেন, ইউনূস ও আদিলুর অন্যায়ের শিকার হলে আইনের সুনির্দিষ্ট অবস্থানে গিয়ে প্রমাণ করুক। অন্যায় না করলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আর প্রমাণ দিতে না পারলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কারণ আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন। এছাড়া নিম্ন আদালতে অপরাধী মনে হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে যেকোনো নাগরিকের। কেননা আপিল করে অনেকেই রেহাই পেয়েছেন। অথচ সেই পথে না যেয়ে বিদেশিদের দিয়ে চাপ দিচ্ছেন ইউনূস-আদিলুর। আসলে আইনিভাবে না লড়ে তারা ভুল পথে চেষ্টা করছেন। কারণ সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় কোনোভাবেই মানবাধিকারের আওতায় পড়ে না।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষণ কতটা জরুরি?

‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কে এলো কে গেলো আমাদের দেখার বিষয় নয়’

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে চান বাইডেন!

আদিলুর–এলানের পক্ষে না দাঁড়াতে বিদেশিদের প্রতি ১৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের আহ্বান

২০২৪ সালে হজে যেতে পারবেন কতজন, জানালো সরকার

নির্বাচন পর্যবেক্ষক ভুল পলিসি, অনেক দেশেই এটি নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পাঁচ ক্ষেত্রে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আরো ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই: পরিবেশমন্ত্রী

মহাসাগর নদী রক্ষায় বিবিএনজে'তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু ২৭ নভেম্বর