‘অধিকার’ : মানবাধিকারের নামে যত অনিয়ম-অসংগতি

১৯৯৪ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’। মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করার কথা বলে নিবন্ধন নেয় সংস্থাটি। তবে নানান অনিয়ম ও অপকর্মের কারণে বিতর্কীত হয়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি নানা অনিয়ম ও আইন অমান্য করে বিতর্ক তৈরির দায়ে সংস্থাটির নিবন্ধন বাতিল করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো।
নিবন্ধন বাতিলের আগে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরো। সেই তদন্তে উঠে এসেছে তাদের নিজেদের অপকর্মের তালিকা। এছাড়া অধিকারের দাখিলকৃত নিবন্ধন নবায়নের আবেদনে উঠে এসেছে সংস্থাটির গত ১০ বছরের কার্যক্রম।
যে কোন প্রতিষ্ঠানকেই তার কাগজপত্র নবায়ন করতে হয়। কিন্তু ‘অধিকার’ নামের প্রতিষ্ঠানটি নবায়নের জন্য কাগজপত্র যথাযথভাবে দাখিল করেনি। তারা বিদেশ থেকে যেই টাকা এনে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু এর জন্য কোন অনুমোদন নেয়নি। জমা দেয়নি বর্ধিত ফি ও ভ্যাট।
সংস্থার নিবন্ধন নবায়ন বিষয়ে ব্যুরোর চাওয়া তথ্য কখনোই দাখিল করেনি তারা। সংস্থার সেক্রেটারির এবং প্রেসিডেন্টের যৌথ স্বাক্ষরও দেননা তাদের নির্ধারিত ফরমে। দেওয়া হয়না তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্যও। এমনকি বৈদেশিক অনুদানে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ৮টি অডিট রিপোর্টের ওপর উত্থাপিত আপত্তির কোনো জবাব দেয়নি অধিকার।
সর্বশেষ কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত বিভিন্ন হত্যার বিষয়ে সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট WWW.od তে টোটাল এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং (২০০৯ থেকে২০২১) এবং এনফোর্স ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স ২০০৯ থেকে ২০২১) প্রতিবেদন ছকে উল্লেখিত ব্যক্তির নাম, সংখ্যা ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চাওয়া হলে সংস্থাটি মামলার রেফারেন্সে তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রদান করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, একটি মানবাধিকার সংস্থা যদি আইন না মানে তখন সরকার বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়। তবে অধিকার নামের সংস্থাটি সরকারের এই আইনী পদক্ষেপকে রাজনীতিকরন করতে চাইছে। অথবা মানবাধিকার সংস্থাকে বন্ধ করার দায় সরকারের ওপর চাপাতে ইচ্ছে করেই হয়তো সঠিক কাগজপত্র জমা দেয়নি সংস্থাটি।