ফরাসি প্রেডিডেন্ট ম্যাক্রোঁ’র সফরকে ঘিরে যত অপপ্রচার

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ'র ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে সরকার বিরোধী একটি মহল। তবে এটা করতে গিয়ে তারা আল্টিমেটলি দেশের অর্জনকেই খাটো করছেন। যা একটি অসুস্থ রাজনৈতিক মানসিকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এই সফরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এসব বিষয় আড়াল করতে একের পর এক কল্পকাহিনী তৈরি করছে সরকার বিরোধী একটি মহল। এসব মিথ্যা আর বানোয়াট কাহিনী সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তিনি আসার আগে থেকেই প্রচার করা হয়, শেখ হাসিনার গদি নড়বড়ে। তিনি পদত্যাগ করলে আশ্রয় দেবে ফ্রান্স। আর এমন বার্তা নিয়েই দেশে এসেছেন ম্যাক্রোঁ।
সফর শেষে আবার বলা হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাথে সকল আলোচনাই ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ফ্রান্সের নিকট থেকে বোয়িং বিমান ক্রয়ের বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। কারণ বোয়িং ক্রয়ের মত কোনো অর্থ বর্তমানে সরকারের কাছে নেই। এমনকি বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট নির্মাণ নিয়ে ফ্রান্সের সাথে কোনো চুক্তি হয়নি বলেও প্রচার করা হচ্ছে।
কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে বাংলাদেশের যে চাওয়া পাওয়া ছিল ম্যাক্রোঁ’র ঢাকা সফরে সেই প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ হয়েছে।
মূলত এই সফরে কিছু প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েই এসেছিলেন ম্যাক্রোঁ। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা ও বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট নির্মাণ নিয়ে দুটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে ঢাকা-প্যারিস। কাজেই আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে কথাটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
এদিকে, ফ্রান্সের নিকট থেকে বোয়িং বিমান ক্রয়ের বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি ও সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাও ভিত্তিহীন। কেননা, বিমান ক্রয়ের প্রস্তাবটি প্রথমে ফ্রান্সই দিয়েছিলো। তবে এখনই ক্রয়ের প্রয়োজন মনে করেনি। তার মানে এই নয় যে সরকারের কাছে কোনো অর্থ নেই।
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি হবে একটি আর্থ অবজারভেটরি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থলভাগ ও জলভাগ পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে। চুক্তিটি সম্পন্ন হলেও বলা হয়েছে কোনো চুক্তিই হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের অর্জন খাটো করতে গিয়ে একজল লোক দেশের অর্জনকেই খাটো করছেন। আর এটি করা হচ্ছে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে। যা একটি অসুস্থ রাজনৈতিক মানসিকতা।