১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে শঙ্কা: গৃহযুদ্ধের হুমকি!

এখনই আন্দোলনের সঠিক সময়, তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন লাভ হবে না, সরকারকে হটাতে হলে সহিংস হতেই হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা শহর আমাদের দেখলে নিতে হবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর, সমাবেশ করতে চায় মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এজন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে দলটি। তবে অনুমতি না মিললেও জোরপূর্বক সমাবেশ করার ইঙ্গিত মিলছে দলটির কয়েকজন সিনিয়ন নেতার বক্তব্যে। তাদের ভাষ্য, সমাবেশ করতে বাধা দিলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি নেতাদের এমন উসকানিমূলক ঘোষণায় ঢাকায় আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জনমনে।
সূত্রমতে, সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য সেপ্টেম্বরকেই টার্গেট করছে বিএনপি। ঘেরাও এবং অবরোধের মাধ্যমে ঢাকাকে অচল করতে চায় মাঠের বিরোধী দলটি। বিএনপির বিভিন্ন নেতা বলছেন, এখনই আন্দোলনের সঠিক সময়, তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন লাভ হবে না, সরকারকে হটাতে হলে সহিংস হতেই হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা শহর আমাদের দেখলে নিতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও এবং সহিংসতার মাধ্যমেই এটি করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যেকোনো কিছুর বিনিময়ে চলমান আন্দোলন সফল করতে হবে, এটি আমাদের বাঁচা মরার লড়াই। সহজেই দাবি আদায় না হলে আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। এক সমাবেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, তামাশার নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি, আমরা এখন থেকে আর মারও খাবো না, মার দেব।
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ইসি ঘোষণা করেছে যে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নাকি জানুয়ারিতে হবে, তারা বাপের তালুকদারি পাইছে আরকি! তারা বলল আর হয়ে গেল। আর আমরা বসে আঙ্গুল চুষব? অনেক অত্যাচার সয়েছি, আর নয়। নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। কাউকে ছাড়বো না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা সরকার-দলীয় বাহিনীর বাধা দিলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের এসব ধারাবাহিক হুমকি-ধামকিতে ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তারা বলছেন, একটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এ ধরণের বক্তব্য অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। তাদের বক্তব্য প্রমাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো ভয়াবহ নৈরাজ্য চালাবেন। দেশের সাধারণ মানুষ আবারও সহিংসতার শিকার হবে।
সমালোচকরা বলছেন, বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা কিন্তু একবারও সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন না। ২০১৩-১৪ সালের ভাষায় হুমকি-ধামকিই দিয়ে যাচ্ছেন, যা রাজধানীসহ পুরো দেশজুড়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। কাজেই জননিরাপত্তার স্বার্থে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে সরকারকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।