নির্বাচনের আগেই মহাসচিব পরিবর্তনের দাবি: পরবর্তী মহাসচিব আমির খসরু!

- দীর্ঘদিন যাবৎ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিরুদ্ধে সরকারের সাথে আঁতাতের অভিযোগ থাকায় তৃণমূল থেকে তার অপসারণের দাবী ওঠে বেশ কয়েকবার, কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়ন করা না হলেও এবার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বিএনপি।
- যখনই রাজনৈতিক সংকট থাকে, তখনই বিদেশ যান দলীয় মহাসচিব। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ দলীয় চেয়ারপার্সনকে বিদেশে পাঠানোর কোনো উদ্যোগ না নিলেও কারণে-অকারণে বিদেশে যাচ্ছেন তিনি। সেকারণে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজন অনুভব করছে হাইকমান্ড।
বিএনপিতে বহুদিন ধরে নেতৃত্ব সংকটের কারণে কোনো আন্দোলনই আশার আলো দেখেনি। দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে পালাতক রয়েছেন। এই মূহুর্তে দল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ তার বিরুদ্ধে সরকারের সাথে আঁতাতের অভিযোগ থাকায় তৃণমূল থেকে তার অপসারণের দাবী ওঠে বেশ কয়েকবার, কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়ন করা না হলেও এবার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বিএনপি। তার স্থলে স্থায়ী কমিটির সদস্য, তারেক রহমান ও বেগম জিয়া দুজনেরই আস্থাভাজন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।
সূত্রমতে, বর্তমান দলীয় মহাসচিবের নেতৃত্বে কোনো আন্দোলনে সফলতা দেখেনি দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাই নির্বাচনের আগেই দক্ষ নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে মহাসচিব পরিবর্তনের দাবি উঠেছে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যখনই রাজনৈতিক সংকট থাকে, তখনই বিদেশ যান দলীয় মহাসচিব। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ দলীয় চেয়ারপার্সনকে বিদেশে পাঠানোর কোনো উদ্যোগ না নিলেও কারণে-অকারণে বিদেশে যাচ্ছেন তিনি। সেকারণে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে দক্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজন অনুভব করছে হাইকমান্ড।
এছাড়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি।দলটি মনে করে জনগণ জেগে উঠেছে, বিএনপি নেতারা মরতে শিখেছে। কিন্তু মহাসচিব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। এভাবে নরম সুরে সরকারের পতন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা। যে কারণে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো দক্ষ নেতৃত্ব চান দলীয় নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক যুগেও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিবের পদে আসীন রয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও দলীয় শৃঙ্খলা ও সরকার পতনের আন্দোলনে তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি তিনি। এই বিবেচনায় তিনি, ব্যর্থই বলা যায় তাকে। এছাড়া একটি পুরাতন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিতে অনেক দক্ষ ও দূরদর্শী নেতা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগেই আমির খসরুর মতো দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতাকে দলীয় মহাসচিব পদে বসালে দল সুসংগঠিত হবে, আর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারববেন বলে মনে করছেন তারা।