বিএনপি নেতা টুকুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ না করায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ২৬ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ টুকুর ৯ বছরের সাজার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৩০ মে হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ।
কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে ফের শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের পুনঃশুনানি শুরু হয়।