আওয়ামী লীগকে সবুজ সংকেত ভারতের, তবে পাল্টেছে কৌশল

গত কয়েক মাস অব্যাহত মার্কিন চাপের মুখে বাংলাদেশের বিষয়ে অনেকটাই নীরব ভূমিকায় ছিল ভারত। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের এমন নীরবতা দেখা যায়নি। এতে ধারণা করা হয়েছে বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নীতি বোধ হয়তো পরিবর্তন হয়েছে। তবে জি -২০' সম্মেলনকে ঘিরে এই ধারণা পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারত তার নীতি পরিবর্তন করেছে বলে কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে। এসব প্রচারণার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকানোর জন্যই মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ অনেকটা একই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত-আমেরিকা এই দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আকাশচুম্বি।
মূলত এসব কারণেই গত কয়েক মাস অব্যাহত মার্কিন চাপের মুখে বাংলাদেশের বিষয়ে অনেকটাই নীরব ভূমিকায় ছিল ভারত। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের এমন নীরবতা দেখা যায়নি। এতে ধারণা করা হয়েছে বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের নীতি বোধ হয় পরিবর্তন হয়েছে।
তবে সম্প্রতি 'ব্রিকস' ও :জি -২০' সম্মেলন এই ধারণা পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। ব্রিকস সম্মেলনে চীন ও ভারতের একান্ত আগ্রহেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। আর জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতসহ সাইডলাইনে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কৌশলগত ভূমিকা নির্ধারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেষ্টা দৃশ্যমান হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন এসেছে ঠিকই তবে এখানেও যথেষ্ট কৌশলী হয়ে এগুচ্ছে ভারতের কূটনীতিকরা। তারা বাংলাদেশের নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ অন্যান্য বিষয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য না দিলেও শেখ হাসিনার চাহিদা মতো বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ করে দিচ্ছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে সব ধরণের নেগোশিয়েশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
প্রকাশ্যে ঘোষণা না দিয়েও যদি কূটনীতিক পর্যায় থেকে কোনো দেশকে সমর্থন করা যায়, দেশটির পক্ষে ফলপ্রসু কূটনৈতিক অবস্থান নেয়া যায় তাহলে প্রকাশ্যে একটি দলকে সমর্থন করার দরকার কি। তাই বর্তমানে ভারত সরকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলেই কাজ করে যাওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।