বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে যুক্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪৩, বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২, ১২ শ্রাবণ ১৪২৯

নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বন্দর উপজেলাকে আলাদা করেছে শীতলক্ষ্যা নদী। প্রতিদিন নৌকা ও ট্রলারে ভোগান্তি নিয়ে নদী পার হন এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। তাদের এ কষ্টের অবসান হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরে। দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষে খুলতে যাচ্ছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু।’ 

 

সেতুর প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘‘আগে এর নাম ছিল ‘তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু’। তবে মাস দুয়েক আগে নতুন নামে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।’’

সড়ক ও সেতু বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বন্দরের মদনগঞ্জ ও সদরের সৈয়দপুর এলাকার মধ্যে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

১২৩৪ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০৮ কোটি টাকা। ছয় লেন বিশিষ্ট এই সেতুর চার লেনে দ্রুতগতির যানবাহন এবং দুই লেনে চলবে রিকশা সাইকেল ভ্যানসহ স্বল্পগতির গাড়ি। সেতুর দুই পাশের রেলিং ঘেঁষে রয়েছে ফুটপাত। 

সেতুর প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সেতু নির্মাণ করা হয়েছে মোট ৩৮টি পিয়ারের ওপর। তার মধ্যে নদীতে রয়েছে পাঁচটি পিয়ার। ইতিমধ্যে সেতুর ৯২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ‘এখন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ ও জয়েন্ট এবং লাইটিংসহ ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। চলতি মাসেই সেতুর পুরো কাজ শেষ হলে ডিসেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, ‘এ সেতুটি নির্মাণের কারণে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যেমন হবে, তেমনি দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনগুলোর চট্টগ্রাম যেতে সময় বাঁচবে দুই ঘণ্টা। পাশাপাশি যানজট কমবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কে।’ 

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা সালমা আক্তার বলেন, ‘ব্রিজের কারণে আমাদের যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমরা চাইলে এখন এদিক দিয়ে কুমিল্লা চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সহজে যেতে পারব। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার হবে রোগীদের। ‘আগে নদী পার হতে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। সেতু হওয়ার কারণে এই সমস্যা শেষ হচ্ছে। ’

বন্দরের মদনগঞ্জের বাসিন্দা পত্রিকা বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ‘আমি মুন্সীগঞ্জে পত্রিকা বিক্রি করি। নদী পার হয়ে আমার যেতে অনেক সময় লাগে। সেতুটি হওয়ায় আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। শুধু আমাদের নয়, সারা দেশের মানুষের উপকারে আসবে এই সেতু। ‘পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জ দিয়ে এই সেতু পার হয়ে অনেক জেলায় যাতায়াত করা যাবে। সময়ও কম লাগবে। তা ছাড়া মুন্সীগঞ্জের আলুসহ বিভিন্ন কাঁচামাল তাড়াতাড়ি বাজারে যেতে পারবে। পরিবহন খরচ কম লাগবে। ’

বন্দর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম মোমিনুল হক বলেন, ‘এই সেতু গ্রামীণ জনপদকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।’ বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সেতুটিকে ঘিরে মেঘনার বিভিন্ন চর অঞ্চলে অর্থনীতিক জোন তৈরি হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় কলকারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। এসব এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে।’ 

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া ও মদনপুর এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানবাহনগুলো এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক হয়ে সরাসরি বন্দরের রাস্তায় উঠবে। এই সেতুর রাস্তা থাকবে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত। সেখান থেকে শ্রীনগর হয়ে চলে যাওয়া যাবে পদ্মা সেতুর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা সুপার এক্সপ্রেসওয়েতে (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক)। তা ছাড়া রাজধানী থেকে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর দিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল। ’

Share This Article


২৪ ঘণ্টায় ৮ যানবাহনে আগুন

নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচারে নামলে ব্যবস্থা: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ সংখ্যা ৩১৪০

চোরাগোপ্তা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

আন্তর্জাতিক মহলও বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে বলছে: কৃষিমন্ত্রী

জবির প্রথম নারী উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম

বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে লড়বেন হিরো আলম

উৎসবমুখর পরিবেশেই নির্বাচন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আকাশ আর পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় সাকিবকে তলব

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কিছু নেই: সচিব