অর্থ আত্মসাৎ : ভাঙ্গনের মুখে নুর-রেজা কিবরিয়ার দল !

ভাঙনের কবলে পড়েছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও গণফোরামের সঙ্গ ছেড়ে আসা ড. রেজা কিবরিয়ার গঠিত গণঅধিকার পরিষদ। মাত্র এক বছরের মাথায় অভ্যন্তরিণ কোন্দোলের কারণে দলের নেতাদের মধ্যে দুরত্ব শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
অভিযোগ উঠেছে, দলটির সদস্যসচিব নুরুল হক নূর কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই একক সিদ্ধান্তে প্রবাসী অধিকার পরিষদ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। আর সেই সংগঠনের নামে আসা সব অর্থ নুর আত্মসাৎ করেছেন। টাকার অঙ্কে যা ৭ কোটির বেশি।
অন্যদিকে, আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে এ টাকার কোনো ভাগ তিনি পাননি। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বও শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ড. রেজা কিবরিয়ার অনুসারিরা নুরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই দিন ধরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলছে অস্থিরতা, মিছিল, পাল্টা মিছিল, হুমকি। এমনকি বহিষ্কার, পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটছে।
মূলত রেজা কিবরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন যে, বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে রেজা কিবরিয়া নাম ভাঙ্গিয়ে নুরুল হক নূর বেশকিছু টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন। এটি জানার পরপরই তিনি তার অনুসারীদেরকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। আর তখন থেকেই এ অস্থিরতার সূত্রপাত।
জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদের অধিনে বেশ করেকটি অঙ্গ সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের অধিকার একটি। এ সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুর। এই সংগঠন প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি পরিচালনা ব্যয় যোগাতে প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
এদিকে, গণঅধিকার পরিষদ গঠনের পর অনেকেই দলটিকে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন, রেজা কিবরিয়াকে অনেকে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করছিলেন। কিন্তু অর্থ লোভের কারণে যে এত তাড়াতাড়ি দলটি ভাঙ্গনের মুখে পড়বে সেটা সম্ভবত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকও ভাবতে পারেননি।
বিশ্লেষকরা বলেন, একটি দলে হামলা, মামলা, জেল -জুলুম,নির্যাতন প্রতিবাদীদের শক্তিশালী করে। কিন্তু অভ্যন্তরীন কোন্দল, ক্ষমতা ও অর্থের লোভ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। ব্যক্তি পর্যায়ে সে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ছিটকে পড়ে।