ঋণে ডুবেছে পাকিস্তান
শ্রীলঙ্কার পথেই কি এগোচ্ছে পাকিস্তান ? তেমনই দাবি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে জ্বালানি সংকটে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে ইমরানের আশঙ্কা, আর বেশি দেরি নেই। এবার শ্রীলঙ্কার মতোই পাকিস্তানের রাজপথেও প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামতে পারে।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে দেশের সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ করতে চাচ্ছে পাক সরকার। শনিবার (২৩ জুলাই) এই সংক্রান্ত নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ হয়েছে।
নতুন এই অর্ডিন্যান্সের ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সম্পত্তিকে বিদেশে বিক্রি করার সময় কেউ তার প্রতিবাদে কোনও পিটিশন দাখিল করলেও আদালত সেটাকে গ্রাহ্য করবে না। আপাতত ২ বিলিয়ন থেকে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার ও সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আরব সংযুক্ত আমিরশাহীকে বিক্রি করে বিদেশি মুদ্রা বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। আর তার আগেই আনা হলো এই পরিবর্তন।
গত মে মাসেই সৌদিআরব জানিয়ে দিয়েছিল, পুরনো ঋণ শোধ করতে অপারগ পাকিস্তানকে তার আর কোনও রকম অর্থসাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ শোধ করতে দেশীয় সম্পত্তি বিক্রির পদক্ষেপ ছাড়া কার্যত আর উপায় নেই পাকিস্তানের।
এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান মনে করছেন, আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের ‘মাফিয়া’রা তাদের অবৈধ সম্পত্তি বাঁচাতে তিন মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ”নিশ্চিত করেই এটা বলতে পারি যে, আমার ‘হাকিকি আজাদি’র আহ্বানে সাড়া দেবে পাকিস্তানের জনতা। এই মাফিয়াদের এভাবে লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবে না ওরা।”
করোনা মহামারীর পর পাক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ট্রেড ডেফিসিট’ অর্থাৎ রপ্তানির তুলনায় আমদানি বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের চাইতে বেশি দাঁড়িয়েছে। তার উপর রাজনৈতিক ডামাডোলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তান কার্যত দেউলিয়া।