নিকটাত্মীয়দের হক নষ্ট করে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েন চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম!
ফয়জুল করিম ও রেজাউল করিম নিজেদের মাঝে যাতে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে চরমোনাইয়ের দরবারের প্রয়োজন দেখিয়ে নিকটাত্মীয়দের জায়গা ও মাঠ দখল করে নেন । এমনকি মাহফিলের মাঠ ও মঞ্চ বানানের অযুহাতে দখল করে নেন অনেকের বসতভিটাও। এভাবেই শত কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন ফয়জুল করিম।
ধর্মের অপব্যাখ্যাসহ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রায় সময় আলোচনায় থাকেন চরমোনাইর কথিত পীর মুফতি ফয়জুল করিম। ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে পারিবারিকভাবে পীর ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করতে জড়িয়েছেন বিভিন্ন অপকর্মে। এমনকি নিকটাত্মীয়দের জুলুম নির্যাতন ও হক নষ্ট করে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম, এমন সহস্র অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে ফয়জুল করিম ও তার বড় ভাই রেজাউল করিম নিজেদের সম্পদে অন্য কারো ভাগ সহ্য করতে পারেননি। হামলা-মামলা ও নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নিকটাত্মীয়দের জায়গা জমি দখল করে নেন। এমনকি আত্মীয়দের চরমোনাই থেকেও বিতাড়িত করেন দুই ভাই।
এছাড়া তাদের ললুপদৃষ্টি তার সৎ চাচাদের উপরও আছে। শুধু উচ্ছেদ নয় নানা নির্যাতন করে অতিষ্ঠ করে তোলেন চাচাদের। পিতার দখলিকৃত সম্পত্তি আগলে রাখতে সৎ চাচাদের হামলা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন ফয়জুল করিম।
কথিত এই পীরের জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে চাচা সাইয়েদ ফেরদাউস বিন এসহাক বলেন, বাবার মৃত্যুর সময় আমরা ছোট থাকায় সম্পদের সঠিক পরিমাণ জানা ছিল না। তবে বর্তমানে আমাদের জানা মতে, ৫০ একর সম্পত্তির মালিক আমরা। সেখানে বাড়ির জমিসহ ২ একর জায়গা আমাদের দখলে আছে। বাকি ৪৮ একর বড় ভাই ফজলুল করিমের দুই ছেলে ফয়জুল করিম ও রেজাউল করিম দখল করে রেখেছে। বর্তমানে এই সম্পত্তির মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
নিকটাত্মীয়রা জানান, ফয়জুল করিম ও রেজাউল করিম নিজেদের মাঝে যাতে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে চরমোনাইয়ের দরবারের প্রয়োজন দেখিয়ে নিকটাত্মীয়দের জায়গা ও মাঠ দখল করে নেন । এমনকি মাহফিলের মাঠ ও মঞ্চ বানানের অযুহাতে দখল করে নেন অনেকের বসতভিটাও। এভাবেই শত কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন ফয়জুল করিম। কিন্তু হামলা -মামলার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না । সম্পত্তি নিয়ে কথা বললেই মুরিদ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালান তিনি। এজন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। পীর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।চরমোনাই এলাকায় তিনি যা বলেন সেটাই যেন আইন, কেউ তার কোনো অন্যায় কাজেই বাধা দিতে পারেনা।কেননা অর্থ সম্পদ ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি সব কিছুই জায়েজ করে নেন।