রাজশাহীতে প্রচারণায় এগিয়ে নৌকা, অন্য মেয়র প্রার্থীদের পোস্টারও নেই
‘একটি দল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ ভোটারদের ভুলপথে টানছে। এদের অপপ্রচার থেকে সাবধান থাকতে হবে ভোটারদের।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ জুন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই মাঠে প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে শুরু থেকেই মাঠে তৎপর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী। প্রচারণায় ব্যস্ত তার কর্মী-সমর্থকরা। তবে লিটন ছাড়া অন্যদের প্রচারণা তেমন দেখা যায়নি। নেই তাদের পোস্টার-ব্যানার।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সরেজমিনে নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র পদে শুধু নৌকার প্রার্থী লিটনের পোস্টার। এর সঙ্গে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের পোস্টারও আছে। নৌকার কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে নগরীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তবে মেয়র পদে নতুন তিন মুখের পোস্টার-ব্যানার তেমন চোখে পড়েনি। পোস্টার না থাকলেও হাতপাখা, গোলাপ ও লাঙ্গলের প্রচারণায় মাইকিং চলছে। পোস্টার-ব্যানার না থাকা নিয়ে তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন অন্য তিন মেয়র প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নৌকার প্রার্থী ছাড়াও এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন। তারা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তাদের এখন পর্যন্ত কোনও রূপরেখা নেই। তারা ইচ্ছে করে পোস্টার লাগাননি। এমন না যে, তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আবার প্রচারণাও চালাচ্ছেন না। তবে মাঝেমধ্যে প্রচারণা চালান দুই-একজন।
এই তিন মেয়র প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ‘গোলাপ’ প্রতীক ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলমের ‘হাতপাখা’।
মেয়র পদে শুধু নৌকার প্রার্থী লিটনের পোস্টার
রাসিকের দুইবারের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমাদের প্রচারণা চলছে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, আবারও জয়ী হবো। ’
তিনি বলেন, ‘এবার মেয়র হলে উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। জলাবদ্ধতা দূর হবে। কোনও রাস্তা ভাঙা থাকবে না। পার্ক থাকবে, আলোকায়ন হবে, স্কুল থাকবে অর্থাৎ নাগরিক যত সুযোগ-সুবিধা, সবই থাকবে। ভোটাররা সুযোগ দিলে সেই কাজটি করতে চাই।
তবে লিটনের অভিযোগ, ‘একটি দল ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ ভোটারদের ভুলপথে টানছে। এদের অপপ্রচার থেকে সাবধান থাকতে হবে ভোটারদের।’