মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, তবে বিএনপি কেন নির্বাচনে আসছেনা?
বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধিনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছিলো মাঠের প্রধানবিরোধী দল বিএনপি। এ জন্য নিরপক্ষে ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনও করে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতিকে তারা স্বাগত জানায় এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আরোপে উৎফুল হয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন।
কিন্তু তারপরেও নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে বিএনপি। প্রশ্ন উঠেছে, মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, এবং এটিকে তারা স্বাগত জানায় তবে বিএনপি নির্বাচনে আসছেনা কেন?
সম্প্রতি ১৪ দলীয় জোটের এক মিটিংয়ে শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমন প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া চলছে। এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে ফলাফল যাই হোক সেটাই মেনে নিতে হবে। আর যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে এটাকে পুঁজি করে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে সরকার হঠাতে পারবে।
ব্যাখ্যা দিয়ে মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা বিষয়ে দূরত্ব রয়েছে। বিশেষ করে চীন-রাশিয়ার বলয় থেকে বের হতে শেখ হাসিনাকে নানা চাপে রেখেছিলো বাইডেন প্রসাশন। কিন্তু শেখ হাসিনা সবার সাথেই বন্ধুত্ব রক্ষার নীতিতে পিছু হটে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আশা হারায়নি, যার প্রতিফলন ভিসানীতি। হতে পারে এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারেকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বজায় রাখবে বা কথা শুনবে তাদের দিয়েই সরকার গঠন করা হবে।
অন্যদিকে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করে মেনন বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলবো-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আসতে। আর না আসলে বুঝবো আমেরিকার সাথে যুক্ত হয়ে দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত তারা।