কেন চরমোনাই পীরের সাথে কোনো জোট বা ভোটে রাজি নয় ইসলামী দলগুলো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো একটি স্বতন্ত্র জোট গঠনের চেষ্টা করেছিল গত বছর। এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দেয় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সমমনা কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপও করে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। মূলত 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র প্রতি অন্য দলগুলোর অনাস্থা ও অবিশ্বাসের কারণে ওই জোট গঠন থমকে গিয়েছিলো বলে জানা যায়।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, কয়েকটি লক্ষ্য সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র জোট গঠনের আলাপ-আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য ছিল আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির সঙ্গে না গিয়ে আলাদা নির্বাচন করা। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে এক আসনে ধর্মভিত্তিক দলগুলো থেকে একজনকে প্রার্থী দেওয়া। যাতে সব ধর্মভিত্তিক দল একজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে। কিন্তু শুরু এমনটা বললে পরক্ষণেই ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সরকারি দল থেকে আসন ছাড়ের বিনিময়ে ‘বিশেষ সমঝোতা’ করেন। তারপর থেকেই মূলত জোট গঠনের সম্ভাবনা অনেকটা ভেস্তে যায়। শুধু তাই নয়, ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থপরায়ণ এমন মনোভাবের জন্য ভোটেও তাদের সাথে যেতে রাজি নয় বলেও জানান স্ব স্ব দলের নেতারা।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্মভিত্তিক একটি দলের শীর্ষ এক নেতা বলেন, ইসলামী আন্দোলন একদিকে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে একটি স্বতন্ত্র জোট গঠনের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, আগামী নির্বাচনে সরকারের কাছ থেকে আসন ছাড় নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার মানে হচ্ছে, তারা যেদিকে বেশি সুবিধা পাবে সেদিকেই যাবে। দলটির নেতারা মূলত খুবই সুবিধাবাদি। চলমান বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দলটির এমন মনোভাব ফুটে উঠেছে।তাই এ দলটির নেতৃত্বে কারো জোট গঠন বা ভোটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।