ভিন্ন কৌশলে বিএনপি : জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জামায়াতকে সমর্থন!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:০৭, বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়না বিএনপি। এ জন্য জামায়াতের শরণাপন্ন হয়ে ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে দলটি। তারা মনে করছে, এতে বিএনপি-জামায়াত উভয় লাভবান হবে।

 

 

জোটের দীর্ঘদিনের সঙ্গী হলেও মতের ভিন্নতা থাকায় জামায়াত-বিএনপির দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। সরকার হটানোর দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনেও বনিবনা হয় না দলটির। তবে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্ন কৌশলে আগাতে চায় দলটি। তাই বিএনপি  নির্বাচনে না গেলেও আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়না দলটি। সেই প্রেক্ষিতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে জামায়াতকে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছে বিএনপির হাই কমান্ড।

দলীয়ভাবে  নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা বহু আগেই দিয়েছে বিএনপি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলটির নির্বাচনে যাওয়ার আর কোনো পথ খোলা নেই। যদিও জামায়াতের সাথে বিএনপির দূরত্ব চলছে। তারপরেও জামায়াত আওয়ামী বিরোধী হিসেবে পরিচিত। এই অর্থে তাদের বন্ধুত্ব এখনো দৃঢ়। এ কারণেই নির্বাচনে যেতে জামায়াতকে পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি, যেখানে লাভবান হবে উভয় দল।

বিশ্বস্ত সূত্রমতে, নিবন্ধন বাতিলের ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াত। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে যাতে করতে পারে সেই পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, জামায়াত যেহেতু সাংগঠনিভাকে শক্তিশালী একটি দল। সারা দেশে তাদের প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। উপরন্তু জামায়াতের ভোটও যথেষ্ট আছে। তারা যদি এককভাবে প্রার্থী দেয় তাহলে আওয়ামী লীগের ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ নষ্ট হবে। সব জায়গাতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কারণ জামায়াতের ভোটতো জামায়াত পাবেই, সেই সাথে বিএনপির ভোটও পাবে।
আর জামায়াতের প্রার্থীরা সংসদে বিভিন্ন ভাবে সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে নতুন করে জায়গা করে নিতে পারবে। এটি  বিএনপির জন্যও মন্দ হবেনা।

এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে যদি জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পরাজিত করতে পারে তাহলে বিএনপি বলতে পারবে যে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছেই হেরেছে আওয়ামী লীগ।তাদের জনসমর্থন নেই।

অন্যদিকে জামায়াত মনে করছে যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসছেনা, নিজেদেরও নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, সেহেতু তারা যদি সরকারের সাথে লিঁয়াজো করে, অর্থাৎ দলীয়ভাবে নির্বাচনে আসার সুযোগ পায়, বিনিময়ে নিবন্ধন আদায় করতে পারে তাহলে জামায়াতও লাভবান হবে। তাদের নিবন্ধন ফিরে পাবে। বিপরীত পক্ষে সরকারও বলতে পারবে জামায়াত জাতীয় পার্টির মতো বড় বড় দুইটা দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।কাজেই বিএনপি না আসলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূল হয়নি বলা যাবেনা। এমন টোপ জামায়াতের পক্ষ থেকে সরকারকে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।

সমালোচকরা বলছেন, বিএনপি মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে, তারা যদি নির্বাচনে নাও আসে তাহলেও সরকার যে কোনো ভাবে নির্বাচন করে ফেলবে। যেহেতু করেই ফেলবে সে জন্য এই কৌশল অপরিহার্য ছিল। একইসাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন না হলে ফলাফল ২০১৮ সালের মতোই হতো। সেসময় বিএনপি ভোট বর্জনের ফলে আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছিলো। তাই এবারও যেন এমনটি না হয়, সেজন্যই মূলত জামায়াতের শরণাপন্ন হয়েছে বিএনপি। এখন দেখার বিষয় নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত কি অবস্থান নেয়।

Share This Article


সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!

ফের বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক: উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকরা

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বাড়বে গোপন তৎপরতা, মত শিক্ষাবিদদের

প্রসঙ্গ বুয়েট: ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশের জন্য স্থায়ী অকল্যাণ বয়ে আনবে

বেগম জিয়ার ঘনঘন ‘ফিরোজা টু এভার কেয়ার’ রহস্য উন্মোচন!

যে কারণে অপসারণের আগেই গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস

মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন নয়, 'মাইনাস টু ফর্মুলা’র জনক ছিলেন ইউনূস!

ড. ইউনূসের পক্ষে আইনকানুন ও যুক্তির ব্যবহার নেই, আছে আবেগের বাড়াবাড়ি

আর রাখঢাক নয়: ফের প্ৰকাশ্য হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক!

ঈদকে সামনে রেখে আগত মৌসুমী ভিক্ষুকদের সাথে রিজভীর সাক্ষাৎ!

শামীম ইস্কান্দারের প্রশ্ন : খালেদা জিয়ার স্বার্থেই কি বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারতোনা?

আল্লাহ কার কথা শুনবেন: ইউনুসের নাকি নির্যাতিত ঋণ গ্রহীতাদের?