বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমুর সেই বক্তব্যের বিষয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২১, বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

 ‘যেভাবে ভারতে নির্বাচনকালীন সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য পালন করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও পদত্যাগ করেন না, তিনিও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। যেভাবে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে ঠিক সেভাবে আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে ’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত। এটি সরকার বা আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের বক্তব্য নয়।’

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা ‘মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন- বিএনপির সঙ্গে সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় রাজি আছে, প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতাতেও হতে পারে’- এ নিয়ে অবস্থান জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমির হোসেন আমু আমাদের ১৪ দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার এ বক্তব্য নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে, সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও কোনো আলোচনা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তিনি বলেছেন আসলে গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত, দল, সরকার কিংবা ১৪ দলের কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেভাবে ভারতে নির্বাচনকালীন সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য পালন করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও পদত্যাগ করেন না, তিনিও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। যেভাবে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে ঠিক সেভাবে আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সরকারের আকার কী হবে না হবে সেটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনাতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়, তাদের অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনকে আমাদের সরকার সর্বোতভাবে সহায়তা করবে, যাতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, উৎসবমুখর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা চাই সে নির্বাচনে বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটিই আমরা চাই। নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রসঙ্গ থাকে বিএনপিকে সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কারণ নির্বাচন আয়োজন অনুষ্ঠান করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে, ৫শ ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে, দুইজন প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছে এবং সাড়ে ৩ হাজার মানুষ পুড়িয়েছে, তার মধ্যে পাঁচশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটিই মির্জা ফখরুল সাহেব আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা নির্বাচন বর্জন করা সম্ভবপর হবে না। বিভিন্ন সময় তারা এ রকম অনুযোগ বিদেশিদের কাছে করে এসেছে কিন্তু এবার সেটিও করা সম্ভবপর হবে না। দেশে একটি অবশ্যই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভন্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় তাহলে সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে দেখুন- বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। কানাডার আদালত কর্তৃক রায়প্রাপ্ত ভ্যালিডেটেড সন্ত্রাসী অর্থাৎ সিলমারা সন্ত্রাসী দল, যারা মানুষ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়, পুলিশের ওপর হামলা চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায়, যারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালায়। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগের এসএম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, খুলনার মনজুর ইমামসহ অনেকেই নিহত হয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের শেখ হেলাল এমপির জনসভায় অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে, আদালতের বিচারক নিহত হয়েছে এবং বিএনপি যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আর যারা বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের হামলায় সারা দেশে ৫শ জায়গায় একযোগে বোমা ফুটেছে। বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার প্রতি সহানুভূতি জানাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দরজায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও যারা দরজা খোলে নাই, যারা অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী হবে, সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।’

Share This Article


অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ যুগ্ম সচিব

ঢাকায় কাতারের আমির

যু‌দ্ধের টাকা জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হ‌লে বিশ্ব রক্ষা পে‌তো: প্রধানমন্ত্রী

পাবনায় তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি

বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হচ্ছে ৫ চুক্তি

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকয় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার

প্রধানমন্ত্রী বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি

‘হিট অ্যালার্ট’র সময় আরও তিন দিন বাড়ল

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির