মেয়র হলে জামায়াত ও তাবলীগের বেদাতি কর্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা চরমোনাই পীরের!
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি করপোরেশন-বিসিসি নির্বাচন। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচারণায় তত ব্যস্ততা বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। তবে ভোটারদের কাছে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার পাত্র হচ্ছেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী চরমোনাই পীর মুফতি ফয়জুল করিম। সম্প্রতি তিনি এক সভায় বলেছেন, আমি মেয়র হতে পারলে জামায়াত ও তাবলীগের বেদাতি কর্যক্রম বন্ধ করবো। তার এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বরিশাল সিটির ভোটাররা।
জানা যায়, নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে হাতপাখার পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে চরমোনাই পীর বলেছেন,‘ প্রকৃত ইসলামী দলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন আপনারা। ইসলামকে যদি ভালোবাসেন, আল্লাহর রাসূলকে যদি ভালোবাসেন আর যদি কোরআনের আইন চান তাহলে হাতপাখায় ভোট দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আর যদি হাতপাখায় ভোট দিয়ে আপনারা মেয়র নির্বাচিত করেন তাহলে বিতর্কিত তাবলীগ ও জামায়াতের কার্যক্রম বরিশালের মাটিতে বন্ধ করবো। তারা বেদায়াতি। কোনো বেদায়াতের জায়গা বরিশালের মাটিতে হবে না। ইনশাল্লাহ।’
চরমোনাই পীর মুফতি ফয়জুল করিম আরো বলেছেন, ‘তাবলীগের ভাইয়েরা মসজিদের পরিবেশ নষ্ট করেন। তারা মসজিদে পিকনিকের আসর বসান। জামায়াত-শিবিরের ছেলেপেলেরা মসজিদে বসে মোবাইলে গেমস খেলে, ভিডিও দেখে। অথচ মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদে নামাজ পড়ার পরে নামাজিদের বের হওয়ার কথা বলেছে ইসলাম। আর তারা মসজিদে বসে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যা কোনোভাবেই সমর্থন করে না ইসলাম এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বা চরমোনাই। আমরা নির্বাচিত হলে সিটির মসজিদগুলোতে তাবলীগ ও জামায়েতের বেদাতি কার্যক্রমগুলো করতে দেবনা।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামী মসজিদে বসে গোপন মিটিং করে দেশবিরোধী ষরযন্ত্রে লিপ্ত থাকে। তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজনীতিতে নেমে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। একই সাথে তারা দেশের স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই দলটির সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে বলে বক্তব্য দিয়ে আসছি। প্রশাসনের তদন্তেও সত্যতা বেরিয়ে এসেছে। এমন একটি দল বরিশাল নগরীতে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারে না। আমরা নির্বাচিত হলে জামাতি-বামাতিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবো বলেও জানান এই পীর।
সমালোচকরা বলছেন, চরমোনাই পীর নির্বাচনের আগেই ভোটের রাজনীতিতে হেরে গেছেন। কারণ তাবলীগ ও জামায়াতের বরিশাল সিটিতে অনেক ভোট আছে। আর এই ভোটগুলো এমন বক্তব্য দিয়ে হাতছাড়া করলেন তিনি। এছাড়া চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রতিও মনযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।