খোকন সেরনিয়াবাতকে হারাতে তিন কোটি টাকা ঘুষ নেন চরমোনাই পীর!
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র পার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে হারাতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফ আনিসুর রহমান। গত ৪ জুন তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান তিনি। এরপরই ঘটনাটি বরিশালে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনিসুর রহমান বলেন, চরমোনাই পীর এই টাকা নিয়েছেন সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ‘র কাছ থেকে। এ জন্য তাদের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনো ভাবে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তাহলে মেয়র না হয়েও সাদিক আবদুল্লাহ পুনরায় বরিশালে সব অপকর্ম নির্বিঘ্নে করতে পারবেন। বিপরীতে এই অপকর্মে কোনো ধরনের বাধা প্রদান করবেন না ফয়জুল করীম। আর এই শর্তেই সাদিক আবদুল্লাহ’র কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সাদিক আবদুল্লাহ ও চরমোনাই পীর ফয়জুল করীমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। পরে চরমোনাই পীর ফোন ধরলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে যান এবং ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন।
সমালোচকরা বলছেন, বাংলাদেশের আলেম সমাজের নেতাদের উচিত বিষয়টি অনুসন্ধান করা। এটা যদি সত্য হয় তা হলে এ সমস্ত তথাকথিত ইসলামিক নেতাদের বিচার হওয়া উচিত। এদের আসল চেহারাটা সাধারন মানুষের কাছে উম্মোচন করা উচিত। একজন ধর্মীয় নেতা হয়েও গতানুগতিক রাজনীতিতে সরব হয়েছেন এবং অনৈতিক পন্থা বা দুর্নীতিতে যুক্ত হলেন নির্বাচনের আগেই।পরে তিনি কি করবেন তা সহজেই বোঝা যায়। কাজেই আগামী ১২ জুন ভোটের মাঠে সবাই ঘৃনাভরে তাকে প্রত্যাক্ষান করা উচিত বলেও মনে করছেন তারা।