জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় গাছ লাগাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি চাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেন কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। তাই সবাইকে গাছ লাগাতে বলছি।
সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমি গাছ লাগিয়েছি। আমি আশা করি, দেশের সবাই এটি (গাছ লাগাতে) অনুসরণ করবেন।
পরিবেশ মেলা-২০২৩, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এদিন গণভবন প্রাঙ্গণে তিনটি চারা রোপণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যেন আরও সুন্দর, সবুজ ও উন্নত হয় সেজন্য ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে ফলমূল, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিটি স্থানে গাছ লাগাতে এবং প্রতিটি এলাকাকে উৎপাদনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের জনগণকে সংকট থেকে রক্ষা করতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, আমি দেশের প্রত্যেককে তিনটি গাছ লাগাতে অনুরোধ করতে চাই এবং যদি তা সম্ভব নাও হয়- তবে অন্তত একটি গাছ লাগান। তিনি শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে গাছ লাগাতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৫ সালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে, ১৯৮৪ সালে সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অন্তত তিনটি বনজ, ফলদ ও ভেষজ চারা রোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, তার দল বিগত বছরের মতো এবারও আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ প্রমুখ।