এবার রিয়াল ছাড়ছেন হ্যাজার্ড

  স্পোর্টস ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:২৩, রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

সাতটি মৌসুমে চেলসির হয়ে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার এডেন হ্যাজার্ড। কিন্তু ২০১৯ সালে সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের দল থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন তিনি। যেখানে তিনি কখনোই থিতু হতে পারেননি। চোট ও ছন্দহীনতা মিলিয়ে বারবার ছিটকে গেছেন মাঠ থেকে। অবশেষে বার্নাব্যুতে হ্যাজার্ড ৪ বছরের সেই অস্বস্তিকর সময়ের ইতি টানতে যাচ্ছেন। ফ্রি এজেন্ট হয়েই তিনি রিয়াল ছাড়ছেন, তবে এখনও তার গন্তব্য নির্ধারিত হয়নি।

২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুমে চেলসির হয়ে এই বেলজিয়ামের তারকা ৩৫২ ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি গোল করেছেন ১১০টি, তবে মিডের এই নির্ভরযোগ্য তারকার এমন পরিসংখ্যান তার নৈপুণ্য প্রমাণে যথেষ্ট নয়। তবে তার পারফরম্যান্সে খুশি হয়ে চার বছর আগে বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফিতে (১১ কোটি ডলার) হ্যাজার্ডকে দলে ভেড়ায় রিয়াল।

চোটজর্জরিত হ্যাজার্ড চার মৌসুমে রিয়ালের হয়ে মাঠেই নামতে পেরেছেন মাত্র ৭৬টি ম্যাচে। গোল করেছেন মাত্র ৭টি। ফলে দুই ক্লাবের হ্যাজার্ডে আকাশ-পাতাল ব্যবধান জোরেশোরেই নজরে আসে। তাই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতায় চুক্তি ভেঙে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অথচ রিয়ালের সঙ্গে হ্যাজার্ডের ২০২৩-২৪ মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি ছিল।

রিয়ালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে জুনের ৩০ তারিখ ক্লাবের সঙ্গে বেলজিয়ান তারকার চুক্তি ভাঙার সমঝোতা কার্যকর হবে। পরবর্তী গন্তব্যের জন্য হ্যাজার্ডকে শুভকামনা জানিয়েছে রিয়াল। তবে স্প্যানিশ ডেরা ছেড়ে হ্যাজার্ড কোথায় যাবেন তা এখনও ঠিক হয়নি।

সাপ্তাহিক ৪ লাখ পাউন্ড বেতনের হ্যাজার্ড এ মৌসুমেও খুব বেশি মাঠে নামতে পারেননি। ২০২২-২৩ মৌসুমে মাত্র ৩৯২ মিনিটই রিয়ালের হয়ে খেলতে পেরেছেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোনো ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট খেলা হয়নি তার। সবমিলিয়ে রিয়ালের সঙ্গে হ্যাজার্ডের বিচ্ছেদটা অবধারিতই ছিল।

কম সুযোগ পেলেও রিয়ালের হয়ে তিনি জিতেছে ৮টি শিরোপা। যার মধ্যে ২টি করে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১টি করে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও কোপা দেল রে রয়েছে।

জাতীয় দলের হয়ে গত বিশ্বকাপও ভালো যায়নি বেলজিয়াম তারকার। বেলজিয়াম কাতার বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডও পার করতে পারেনি। অথচ দেশটি তারকায় সমৃদ্ধ সোনালী প্রজন্ম পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলও ছেড়ে দেন তিনি।

বিষয়ঃ ফিফা

Share This Article