ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কলকাতার হাওড়া ও চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে নিহতের সংখ্যা প্রায় আড়াইশ ছুঁয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯০০ জন।
এদিন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি।
জানা গেছে, বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক বগি। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি বগি বাদ দিয়ে ১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির ওপর উঠে গেছে।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় বেশ কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কিনা তা এখনো রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল কর্মকর্তা-কর্মীসহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
উড়িষ্যার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেন, বালাসোর জেলায় দুই শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
প্রদীপ জেনা এক টুইটে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আহত ৮৫০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০০ জনেরও বেশি অতিরিক্ত চিকিৎসককে মোতায়েন করা হয়েছে।