গাজীপুর সিটি নির্বাচন দেখে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র: নির্দলীয় সরকারে নেই আগ্রহ!
উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন ভোটাররাও। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টই বার্তা দিয়েছিল, তারা অংশগ্রহণমূলক বা নির্দলীয় সরকার নিয়ে মোটেও ভাবছে না। তারা চায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, যা গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবার নৌকার প্রতীক নিয়ে লড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমতউল্লাহ খান। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আর নিরপেক্ষ হওয়ায় ১৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তবে ফলাফল মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আজমতউল্লাহ খান।
এছাড়া ভোট লড়াইয়ে ইসলামী আন্দোলন বা চরমোনাই, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও নজিরবিহীনভাবে কারো কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভোট শেষ হয় এবং ফলাফলও মেনে নিয়েছেন সবাই। এমনকি দলীয়ভাবে নির্বাচনে না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টঙ্গীর প্রভাবশালী বিএনপি পরিবারেরই যে একজন সদস্য ছিলেন তিনিও সুষ্ঠু ভোটে বেশ খুশি। ফলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট। কারণ এ নির্বাচনে জনগণ তথা ভোটাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হয়েছে। তারাও মূলত এমন একটি সুষ্ঠ নির্বাচনই চেয়েছে। আর বর্তমান সরকার সেটি করে দেখিয়েছে। ভিসা নীতির মাধ্যমেও আমেরিকা বাংলাদেশে মূলত এমন 'ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল' নির্বাচনের কথাই বলে আসছিল। আর সেটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে যে সন্দেহ বা শঙ্কা ছিল তাও দূর হয়েছে, ফিরেছে আস্থা। ফলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আর ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র।