বিসিসি নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি ফিরেছে আওয়ামী লীগে, শঙ্কায় বিরোধীরা!
নির্বাচনে জয়লাভ করার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। এর ব্যত্যয় হলে কখনোই জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে এমনই একটি শঙ্কা বিরাজ করেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মধ্যে। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই শঙ্কা দূর হয়েছে।শুধু তাই নয়, এতোদিন যারা অভিমান করে দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন এ নির্বাচনকে ঘিরে সবাই একাট্টা হতে শুরু করেছেন। তবে এর বিপরীতে শঙ্কাবোধ করছেন বিরোধীরা।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। তবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন খোকন সেরনিয়াবাত। আর এতে মনোক্ষুন্ন হলেও পরক্ষণেই শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজও খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর এসব কিছুই জানান দিচ্ছে নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগ কতোটা ঐক্যবদ্ধ।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কারণে স্বস্তি ফিরেছে বিরোধী দলে সে কারণেই শঙ্কা বেড়েছে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীতে বিএনপির বাইরে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ‘র মেয়র প্রার্থী চরমোনাই পীর ফয়জুল করিমের ‘হাত পাখা’কে। এতোদিন তারা ভেবেছিল যে, যেহেতু আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ রয়েছে সেহেতু ভোটের মাঠে এক্সট্রা একটা সুবিধা পাবে হাতপাখা। কিন্তু আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধতার ফলে এই সুবিধা আর পাচ্ছে না তারা।
অন্যদিকে নির্বাচনে বিএনপি’র ভোটাররা কাকে ভোট দিবেন এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েছেন। দলীয়ভাবে যেহেতু ঘোষণা হচ্ছে না, সেহেতু ভোটাররা কি বার্তা পাচ্ছে কিংবা প্রার্থী নির্বাচনে তারা কাকে সমর্থন করবে সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এমন বিভ্রান্তিতে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার বিভক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটাররা এখন আর তাদের ভোট নষ্ট করতে চান না। কাউকে না কাউকে দিতেই হবে এবং প্রত্যেকেই চান তার দেয়া ভোটের প্রার্থী যেন না হারেন। তাই দলের সরাসরি বার্তা না থাকায় বিএনপি ভোটাররা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারেন।
দলীয়ভাবে না থাকলেও স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান ওরফে রুপণ। এজন্য বিএনপির কিছু ভোট পাবেন তিনি। বাকি ভোট ভাগ হয়ে যাবে হাতপাখায় ও নৌকায় । ফলে ভোটের মাঠে আওয়ামীলীগ প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত অনেকাংশেই এগিয়ে থাকবেন বলে জানান বিশ্লেষকরা।