মার্কিন ভিসা নীতি নতুন নয়: বাংলাদেশে প্রথম শিকার তারেক!
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক ঘোষণায় বলেন, যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি সে দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। তবে মার্কিন এই ভিসা নীতি নতুন নয়, এর আগেও বাংলাদেশ'র এক ব্যক্তি এই নিষেধাজ্ঞায় পড়েন।তিনি হলেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ প্রথম রাজনীতিবিদ।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় যখন বিএনপির সঙ্গে সেনাসমর্থিত ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি সমঝোতা হয় তখন তারেক রহমান প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় তারেককে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তার বিরুদ্ধে সেই সময় সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি মানি লন্ডারিং অভিযোগ ছিলো। এর পরপরই তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখানে তিনি অবস্থান করছেন।
২০১১ সালের ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে তারেক রহমানের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য ফাঁস করে মিডিয়া অর্গানাইজেশন এবং ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ভয়ানক উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্ভর স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার বার্তার মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টি।
মরিয়ার্টির পাঠানো বার্তায় বলা হয়, মার্কিন দূতাবাস মনে করে তারেক যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ভংঙ্কর ক্ষতিকর ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রর বিভিন্ন গণন্ত্রাত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশি সহায়তার ক্ষতিসাধন করতে পারেন তিনি। এছাড়া আইনের শাসনের প্রতি তারেকের তাচ্ছিল্য প্রদর্শন মার্কিন বৈদেশিক আর্থিক সাহায্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ।
‘এছাড়াও তারেকের ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রযোজ্যের ক্ষেত্রে সেই দেশের নাগরিকদের নৈতিকতা বিবেচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি বিষয়গুলোও গুরুত্ত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।