নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম : মার্কিন ভিসা নীতিতে উৎফুল্ল আওয়ামী লীগ,দুশ্চিন্তায় বিএনপি!

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির ঘোষণায় সহিংসতা পরিহার করে বিএনপিকে বাধ্য হয়েই নির্বাচনে আসতে হবে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, এর বিকল্প নেই বললেই চলে। অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সম্ভাব্য প্রধান বাধা বিবেচনায় সহিংসতা বা কঠোর আন্দোলন'র ঝুঁকি দূর হওয়ায় উৎফুল্ল আওয়ামী শিবির । তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে না আসার মতো ভুল এবার করবেনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেসব বাধা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন ভিসা নীতিতে’তা দূর হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করবে বলে মনে করছে দলটি। তাই নতুন এই নীতিতে ক্ষমতাসীন দল বিচলিত না হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিএনপি।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে উপহার দেওয়ার জন্য পূর্ব থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।আর মার্কিন সরকারের নতুন ভিসা নীতি সরকারের এই প্রচেষ্টাকে সাহায্য করবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থায় বাধাদানকারী ব্যক্তি বা পরিবারের বিরুদ্ধে এই নীতি কার্যকর হবে এবং এতে বিএনপির নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। ফলশ্রুতিতে সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের 'ভিসা রেস্ট্রিকসন' বা ভিসা নিষেধাজ্ঞা কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের ওপর কার্যকরী হলে তিনি শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার আওতায় চলে আসেন এবং পরবর্তীতে এই নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি পেয়ে দেশটির ট্রেজারী বিভাগ কতৃক সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়েন। যার ফলে তিনি বা তার পরিবার আন্তর্জাতিক মানি ট্রানজেকশন এর বাধার মুখেও পড়েন। যেকোনো দেশের রাজনৈতিক বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর হয়ে ওঠে। আর এ কারণে বিএনপি বা যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব'র পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে এড়িয়ে চলা কষ্টসাধ্য বটে।
সমালোচকরা বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া ও নির্বাচন বানচাল বা প্রতিহতের ঘোষণায় দলটি নতুন মার্কিন নীতির কারণে উভয় সঙ্কটে পড়েছে। কেননা এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকছেনা। কেননা নির্বাচনে অংশ না নিলে একদিকে যেমন সংসদের বাইরে থাকতে হবে, অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।
এছাড়া নির্বাচন বানচাল বা প্রতিহতের চেষ্টায় আন্দোলনও ঝুঁকিপূর্ণ হবে, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা নীতির কারণে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ তাদের জোটের অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা যদি সহিংসতার পথ বেছে নেয়, তাহলে এটি নিজেদের পায়ে নিজেদেরই কুড়াল মারা হবে। ফলে কঠোর আন্দোলনের পথ থেকেও দূরে থাকতে হবে দলটিকে। আর কঠোর আন্দোলন ছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারকে পরাজিত করা যে কোনোভাবেই সম্ভব নয় তা নিশ্চিতরূপেই জানে বিএনপি। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের কপালে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির ঘোষণায় সহিংসতা পরিহার করে বিএনপিকে বাধ্য হয়েই নির্বাচনে আসতে হবে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে, এর বিকল্প নেই বললেই চলে। অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সম্ভাব্য প্রধান বাধা বিবেচনায় সহিংসতা বা কঠোর আন্দোলন'র ঝুঁকি দূর হওয়ায় উৎফুল্ল আওয়ামী শিবির । তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে না আসার মতো ভুল এবার করবেনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।