বিরোধীদলের মাথায় হাত : নির্বাচন বানচালের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ঘোষণা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এতোদিন ভেবে আসছিলো বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে সরকারের উপর একের পর এক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে। এরফলে কুপোকাত হবে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তো আসলোই না, উল্টো তাদের উপরেই খড়গ নেমে এসেছে। কারণ নির্বাচন বানচালের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র।ফলে দলটির নির্বাচন প্ৰতিহতের স্বপ্নই যেন বানচাল হয়ে গেল।
গত ২৪ মে রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন এক টুইট বার্তায় বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আইনের ধারা অনুসরণ করে বাংলাদেশীদের জন্য নতুন একটি ভিসা নীতিমালা জারি করেছে। এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে।
সমালোচকরা বলছেন, বিএনপি এতোদিন যা চেয়েছিল, অর্থাৎ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য স্যাংশন আসবে। এর জন্য তারা একাধিক লবিষ্টও নিয়োগ দিয়েছিলো। কিন্তু আসলোনা কোনো স্যাংশন, এটা একটা সাধারণ ভিসা নীতিমালা মাত্র। তবে কেউ যদি নির্বাচন বানচালে কোনো ধরনের অপচেষ্টা কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে এই নীতিমালা বিরোধী দলগুলোর উপরে প্রযোয্য হবে। আর এখানেই যত টেনশনে বিএনপি।কেননা এটি সরকারকে সুবিধা দেবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতির ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের প্রচেষ্টা আরও সহজতর হবে, যদিও বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল থাকায় কোনো ভাবেই নির্বাচন হতে দেবে না বলেছে।কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করতে চাইলেই নতুন ঘোষিত মার্কিন নীতিমালার কারণে বিপাকে পড়বে দলটি।ফলে তারা না পারবে নির্বাচন বানচাল করতে, না পারবে তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে। সব মিলিয়ে মার্কিন ঘোষণায় বিএনপির মাথায় হাত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।