ব্যর্থ বিএনপির সকল প্রচেষ্টা,এলোনা স্যাংশন

আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না-এ কথা পশ্চিমা বিশ্বকে কয়েকবছর যাবৎ জোর দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। প্রথমদিকে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস দলটির মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করে অযাচিত মন্তব্যও করতে থাকে।ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসে বেশ কয়েকটি স্যাংসন। এতে বেশ উচ্ছ্বাসিত দেখা যায় বিএনপি ও তার মিত্রদের।কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ত্রিদেশীয় সফরের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রদূতদের আচারণের পরিবর্তন দেখা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা 212(a)(3)(C) (“3C”) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছে দেশটি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে বিএনপির সিনিয়ন নেতারা।কেননা এটি সরকারের ওপর কোনো স্যাংসন নয়।উল্টো দলটির ওপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ব্যাখ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অঙ্গীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।তাই এই নীতির অধীনে “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ ও জড়িত ব্যক্তিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তাসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘ ভিসা রেস্ট্রিকসন' ষ্টেটমেন্ট কোনো স্যাংশন নয়, এটা ভিসা নীতি। দীর্ঘদিন কূটতৈতিক পাড়ায় দৌড়ঝাপ করে স্যাংশন চাচ্ছিলেন বিএনপি নেতারা।কিন্তু ভিসা নীতি ঘোষণার ফলে সেটা মাঠেই মারা গেল।তারা এখন উদ্বিগ্ন। কেননা নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো প্রকার সহিংসতা ঘটালে সেটা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার যেহেতু সাংবিধানিকভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অঙ্গিকারবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রও সেটাই চায়।তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় সহিংসতা পরিহার করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত বিএনপির।