বিসিসি নির্বাচন : জয়ী হতে হাতপাখা প্রার্থীর অনৈতিক পন্থা অবলম্বন
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে বরিশাল সিটি। তবে এরইমধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ উঠেছে, যেখানে টাকা দিয়ে ভোট কেনা, ধর্মের অপব্যবহার করে নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন মেয়র প্রার্থী চরমোনাইয়ের পীর ফয়জুল করিম।
সম্প্রতি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ'র নির্বাচনী কার্যালয়ে হাতপাখা সম্বলিত খামে টাকা ভরার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলটির কর্মী-সর্মথকরা।
এই বিতর্কের রেশ না কাটতেই হাতপাখায় ভোট দিতে নারী ভোটারদের প্রভাবিত করতে তারা কুরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে চরমোনাই পীরের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশব্যাপী।
চরমোনাই পীরের নির্বাচনী প্রচারণায় এমন কর্মকান্ডে ওলামায়ে কেরামগণ বলছেন, ভোটারদের টানতে ধর্মকে ব্যবহার করে নোংরা খেলায় মেতেছেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিম ও তার সর্মথকেরা। কুরআর শরীফ ছুঁয়ে শপথ করিয়ে ভোটের ওয়াদা নেয়া, যা পুরোপুরি ইসলাম বিরোধী।
সমালোচকরা বলছেন, হাত পাখার প্রার্থী একজন ইমাম, কিন্তু তিনি মানুষকে ধর্মের কথা বলে ভোট চাইছেন আবার অনৈতিক পন্থায় ভোট ক্রয় করতে তৎপর।কাজেই তার সততা শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ।উপরন্তু একটি সুন্দর নগর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যে রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক জ্ঞান প্রয়োজন সেটিও তার নেই বললেই চলে। এমন নেতার পক্ষে প্রকৃত নগর উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়, যেমনটি বরিশালবাসী ২০১৩ সালে হীরণকে ভোট না দিয়ে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে।তাই এবার বরিশালবাসী এমন ভুল করবেন না।
অন্যদিকে, বরিশালের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াতকে নগর নেতা হবার যোগ্যতাসম্পন্ন সৎ ও সজ্জন প্রার্থী উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা যেহেতু নিজে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাই তিনি নির্বাচিত হলে নগরীর জন্য একদিকে যেমন পর্যাপ্ত বরাদ্দ আনতে সক্ষম হবেন, তেমনই বরিশাল নগরীকে আর্থ-সামাজিক ভাবে উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত একটি 'স্মার্ট ও তিলোত্তমা' নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।