বিসিসি নির্বাচন: লাজ-লজ্জা ভুলে বিএনপির ভোট কামনায় চরমোনাই পীর!
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি করপোরেশন- বিসিসি নির্বাচন। এখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে ভোটে অংশ নিচ্ছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দলটির নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। সম্প্রতি বিএনপির ভোট কামনা করে দেয়া তার একটি বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পরে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
গত ২২ মে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় ফয়জুল করিম বলছেন, বিএনপি আমাকে ভোট দিবে দুইটি কারণে। প্রথম কারণ, বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগের ভোট নেই। আর দ্বিতীয় কারণ, তাদের কোনো প্রার্থী নেই বা তারা নির্বাচন বয়কট করেছে। সুতরাং বিএনপির ভোট চরমোনাই বা হাতপাখায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
চরমোনাইয়ের নায়েবে আমীর আরো বলেন, বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগের কোনো ভোট নেই,আবার তাদের কোনো প্রার্থীও নেই। এখন আওয়ামী লীগ যদি ভোট বেশি পায় তাহলে তাদের কথার ঠিক থাকবে না। আবার যদি বিএনপি মনে মনে যাকে সাপোর্ট করে বা তাদের সমমনা কেউ ভোট পায় তাহলে মানুষ বলবে তারা মুখে বলেছে ভোটে অংশ নেয়নি,অথচ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ঠিকই ভোট দিয়েছে। কাজেই তাদের সমমনা কাউকে তারা ভোটও দিতে পারবে না, আর আওয়ামী লীগ ভোট বেশি পাক এটাও তারা চাইবে না, ফলে ভোটটা যাবে কোথায়? চরমোনাই পাবে।কাজেই বিএনপির ভোটারদবে উচিত তাদের দলীয় সম্মান রক্ষায় হাত পাখায় ভোট দেয়া।
সমালোচকরা বলছেন, বিএনপির সাথে কখনও রাজনৈতিক জোট ছিলো না চরমোনাই পীরের, অথবা সমমনা দলও নয় তারা।চরমোনাই পীর সব সময় বিএনপি-জামায়াতকে গালমন্দই করতেন।কিন্তু নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী না থাকায় লাজ-লজ্জা ভুলে কৌশলে সেই দল বা তাদের ভোটারদের ভোট প্রার্থনা করেছেন।এটি এক ধরণের মুনাফেকী বটে।ইসলামী ভাবধারার দলটি বিভিন্ন সময়ে ভোটে অংশ নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। কখনও তারা বলছে, তাদের হাতপাখা প্রতিকে ভোট দিলে ভোট নবী পাবে। কখনও তারা বলছে, হাতপাখায় ভোট দিলে জান্নাতের টিকেট পাওয়া যাবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে নির্বাচনে চরমোনাই নিজের স্বার্থে ধর্ম ব্যবহারের পাশাপাশি বিএনপির ভোট কামনা রাজনীতিতে চরম লাজ-লজ্জাহীন দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সমালোচকরা।