সিটি ভোট: শেষ মুহূর্তে প্রচারে জমজমাট গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে। শেষ সময়টুকু কাজে লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। চলছে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং। এছাড়া পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহরের অলি-গলি।
নৌকা প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান। ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে ভোট প্রার্থনা করছেন। এ সময় তিনি জানান, গাজীপুরের মানুষ অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে ও জনগণের পক্ষ থেকে তিনি যে সমর্থন পেয়েছেন তাতে বলতে পারেন জয় তার সুনিশ্চিত।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বলেন, ‘এটার অধিকার সংরক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তা যে পদক্ষেপ সেবে তিনি ও তার দল সেটাকে স্বাগত জানাবেন।’
নির্বাচনে দল থেকে বহিষ্কৃত ও পদ থেকে বরখাস্ত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনই হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। নিজে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেও ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর প্রার্থিতা টিকে থাকা মায়ের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক হয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জাহাঙ্গীর। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নানা স্থানে হামলার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন জাহাঙ্গীর ও তার মা জায়েদা।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার কর্মীরা ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন। মাঠের পরিস্থিতি ভালো নেই বলে মন্তব্য করে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, যারা তাদের সমর্থন দিয়ে কাজ করছে তাদের ধরে নিয়ে আটক ও হয়রানি করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি ভোট ও ভোটারদের নিরাপত্তা দাবি করেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। তিনি বলেন, ‘যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন না করা হয় তাহলে নির্বাচনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
টঙ্গির আরিচপুর জামাই বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, এজেন্টরা ভয় পাচ্ছে। তাদের নানানভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ১৭ বছরে যে ভয় তৈরি হয়েছে সেটা এখনো কাটছে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু করতে পারবে সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৮ জন মেয়র, ২৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৭৭ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন।