বিসিসি নির্বাচন
ভোটের মাঠে নেই সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্টজন
- মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না। জমি দখল, মদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জড়িত।
- নিরব হোসেন টুটুল যিনি বরিশালের দ্বিতীয় মেয়র হিসাবে পরিচিত।
- স্বজনদের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দিলেও ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতকে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্নাকে আটকের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ জনেরা। আত্মগোপনে থাকা সাদিক অনুসারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ২১ নম্বর ওর্য়াড়ের কাউন্সিলর শেখ সাইদ আহমেদ মান্না। শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাত সেরনিয়াবাত ও আতিকুল্লাহ মমিন।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবুল খয়ের আবদুল্লাহকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়ার পর তাদের প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশদের মুঠো ফোনও। নির্বাচনী মাঠে এই সব নেতাদের নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকার বাইরে রয়েছেন তারা। কেননা, বিসিসি নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ২০ অপরাধীর তালিকা করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আত্মগোপনে থাকা নেতাদের মধ্যে মেয়রের সবচেয়ে আস্থাভাজন নিরব হোসেন টুটুল যিনি বরিশালের দ্বিতীয় মেয়র হিসাবে পরিচিত। আর্থিক হিসাবসহ সব কিছুই দায়িত্ব ছিল নিরবের কাঁধে। ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর নগরজুড়ে গুজব শুরু হয় টুটুলকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে। টুটুলের পরিবার সূত্র জানায়, কেউ তাকে তুলে নেননি। তিনি বাসাতেই আছেন। কিন্তু শ্রমিক দিবসের র্যালীতে অংশ গ্রহণের পর তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। যে কারণে অনেকেই ভাবছেন তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
মহানগর ২১ নম্বর ওর্য়াড়ের কাউন্সিলর শেখ সাইদ আহমেদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলেও দেখা মিলছেনা ভোটের মাঠে। স্বজনদের মাধ্যমে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তিনিও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকার বাইরে রয়েছেন বলে অনেকেই ধারনা করছে। তিনি মেয়র সাদিকের কাছ থেকে তৃতীয় সুবিধা পাওয়া ব্যক্তি।
সাবেক মেয়রের আরেক আস্থাভাজন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত। সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়ন না পাওয়া এবং রইজ আহমেদ মান্নার গ্রেপ্তারের ফলে চুপসে গেছেন তিনি। স্বজনদের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দিলেও ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না তাকে।
মেয়র সাদিকের নাম ব্যবহার করে সব চেয়ে বেশি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না। জমি দখল, মদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জড়িত সে। দখলে নিয়েছেন বিসিসি'র মালিকানাধীন বাঙ্গালী হোটেল ও নতুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের। দুটি বাসের মালিকও তিনি।তবে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।