বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হয় যে ৫ গ্রামে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১২, শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩, ৩০ বৈশাখ ১৪৩০

নানা জাত ও স্বাদের সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজির উৎপাদন হয় এ গ্রামগুলোতে।

গ্রামগুলোতে বেশিরভাগ পরিবার এখন সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এতে হতদরিদ্র গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক যুবকের বেকারত্ব ঘুচেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে গ্রামগুলোর সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই ইউনিয়নের মধ্যে বাগেরহাট, চন্ডীপুর, নীলারহাট, গুঞ্জরগড় ও চকহলদি গ্রামে বছরে উৎপাদন হচ্ছে দেড় হাজার মেট্রিক টন সবজি।

তিনি বলেন, গ্রামগুলোর উৎপাদিত শাকসবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাট-বাজারে। এখান থেকেই বছরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সবজি।  

গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এ সময়ে মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, ঢেড়স, কাকরোল, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। গ্রামগুলোতে সকাল হলে ছুটে যান ব্যবসায়ীরা।
 
চকহলদি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগেও তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করতেন। তবে এখন রবি মৌসুমে পুরো জমিতেই সবজি আবাদ করছেন।

আলিম উদ্দিন বলেন, ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। এক বছরে মৌসুমভিত্তিক নানা সবজি চাষ করা যায়। এতে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছি।

পাশের নীলারহাট গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোবাশ্বির আলম এক সময় শুধু বোরো, আমন ধান চাষাবাদ করতেন। কয়েক বছর ধরে অন্য ফসলের চাষাবাদ কমিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন। শুক্রবার সকালে চন্ডীরহাট আড়তে কুমড়া ও কাকরোল বিক্রি করতে আসেন মোবাশ্বির।

মোবাশ্বির আলম বলেন, এবার সবজির ফলন ভালো হয়েছে। তবে শুরুতে কিছুটা বাড়তি দাম পেলেও এখন বাজার দর পড়ে গেছে।

একই এলাকার সবজিচাষি রব্বানী মিয়া বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে আমার আয় হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এতে আমাদের ধানের চেয়ে সবজিতে বেশি লাভ হচ্ছে।

পাশের বাগেরহাট আড়তের স্থানীয় ব্যাপারী আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন এই ইউনিয়নের বাগেরহাট, চন্ডীপুর মোড় ও গড়েয়া আড়তে পাইকারিভাবে সবজি বেচাকেনা হয়। বিকালের পর থেকে ট্রাকে সবজি লোড করা হচ্ছে। রাতে এসব সবজি ট্রাকে করে সরাসরি রাজধানী ঢাকার আড়তে পৌঁছে যাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার মধ্যে গড়েয়া ইউনিয়ন কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি এলাকা। কয়েক বছর ধরে সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ কারণে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ভবিষ্যতে সবজির গ্রামগুলোকে রোল মডেল করে আদর্শ কৃষিগ্রাম করার পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের। 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

‘তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’ জিয়াকে পাকিস্তানের জেনারেলের চিঠির কপি আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোববার থেকে নতুন পদ্ধতিতে ইতালির ভিসা

এক দোকান থেকে ৩৫২ মোবাইলফোন চুরি

ঈদে বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

‌‌‘ইউক্রেন হেরে গেলে রাশিয়ার কাছে ইউরোপের কোনো দেশই নিরাপদ থাকবে না’

ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের ফাঁদে পড়ে ‘শিশু শ্রমিক’ হওয়া আঁখির গল্প

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ

মেট্রোর ওপর দিয়ে টানা ক্যাবল সরানোর নির্দেশ

ভারতীয় পণ্য বর্জন একটি পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি: ড. মোমেন

ইতিহাস বিকৃতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে: হাছান মাহমুদ


রঙিন ফুলকপিতে সয়লাব কুমিল্লার ১৭ উপজেলা

গোপালগঞ্জে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সেচ কার্যক্রম রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চালানোর অনুরোধ

নাজিরপুরে জমে উঠেছে ভাসমান সবজির বাজার

৮৫ কোটি টাকার শিম রপ্তানি

কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করা হবে : কৃষিমন্ত্রী

মেহেরপুরে রবিশস্য চাষে নতুনমাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী

পিঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত কৃষক

১৭৯ হেক্টর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বেড়েছে

‘কৃষি সেচে জ্বালানি তেল নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে’

গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষে লাভবান কৃষক

বৈচিত্র্যময় সবুজ ফসলের সমারোহ টাঙ্গাইলের যমুনার চরে