কোনো নোটিশ ছাড়াই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৩৬, বুধবার, ১০ মে, ২০২৩, ২৭ বৈশাখ ১৪৩০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা পূর্ণ খনন কাজ শুরু করেছি। এতে আমাদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য সব বাধা অতিক্রম করে এই পার্ক নির্মাণ করা হবে।

এখানকার সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এসব অবৈধ দখলদারদেরকে ডিএনসিসির কোনো বৈধ নোটিশ দেওয়া হবে না বলেও জানান মেয়র।

বুধবার দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডে ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা ওয়াসা জলাশয়ের এই জমি অধিগ্রহণ করেছে ১৯৮৯ সালে। তখন ডিসি অফিস থেকে জমির মালিকদের টাকা দেওয়া হয়েছে। ওয়াসা তখন উচ্ছেদ করেনি ফলে এখানে অবৈধভাবে অনেকে ঘরবাড়ি করেছে। ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা দাবি করছেন অধিগ্রহণের টাকা পায়নি তাদেরকে ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন ডিএনসিসি মেয়র।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারো একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। সব বয়সের মানুষের জন্য এই ইকো পার্ক করা হবে। শিশু, নারী, পুরুষ ও বয়স্ক সব মানুষের সুবিধা থাকবে এখানে।  আমরা এখানে সিটি ফরেস্ট গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শহরে হাতিরঝিল প্রকল্প করে দিয়েছেন। কল্যাণপুরে আমরা তেমনি ন্যাচারবেজড ইকো পার্ক নির্মাণ করব।

মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রিটেনশন পন্ড থেকে সালমা আক্তার নামে একজন নিজেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে তার ৪০টি ঘর ছিল যেগুলো নিজেই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ পরিদর্শনকালে সালমা আক্তারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ডিএনসিসি মেয়র।

মেয়র বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সালমা আক্তারের মতো নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যান। নগরের জন্য, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আপনারা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। সালমা আক্তারের মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। এমন মানুষদের নগরবাসী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে।

রিটেনশন পন্ডের পাশে জলাশয়ে বিএডিসির ভবন নির্মাণ হলে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে উল্লে­খ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এখানে ১৭৩ একর জলাশয়ের মধ্যে ১১৭ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে, বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজতলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবে না। অথচ বিএডিসি জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এটি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বাধা হবে।

তিনি বলেন, এখানে বিডিআর নামে একটি মার্কেট অবৈধ দখল রয়েছে। এটার নামে চাঁদাবাজিও চলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ করেছি। এটি দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমেছে

সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

বিএনপি নেতা হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত

কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জিডিপি কমার পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

লেবাননে তিন হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ, গরম আরও বাড়ার আভাস