নেত্রকোণার হাওরের অধিকাংশ ধান কেটে স্বস্তিতে কৃষক
সম্ভাব্য দুর্যোগ এড়াতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করছেন নেত্রকোণা হাওরপাড়ের কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, বুধবার নাগাদ হাওরের মাঠে ৭০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। জেলার স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগে হাওরপাড়ের চাষীদের ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে এক হাজারেরও বেশি মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। মেশিনে দ্রুত ধান কাটার পাশাপাশি খরচও অনেকটা কম হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,ধান উদ্বৃত্ত জেলা নেত্রকোণার ১০ উপজেলায় হাওরাঞ্চল, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চল মিলিয়ে এবার বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ছয় উপজেলার হাওরাঞ্চলে উফশি, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাত মিলিয়ে আবাদ হয়েছে ৪০ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগামী ২৩ এপ্রিল আগাম বন্যার শংকার কথা মাথায় রেখে কৃষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ৮০ শতাংশ ধান পাকলেই সেই ধান যেন কাটা হয়।
সূত্রটি জানায়, সরকারি ভর্তুকি মূল্যে জেলায় ৭৭৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ১২১টি রিপার মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার বাইরে থেকে আরো অন্তত দুইশোটি মেশিন আনা হয় ব্যক্তি উদ্যোগে। সব মেশিনই এখন দিন রাত হাওরের মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত রয়েছে।
হাওরের ধান কাটা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পরে সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের ধান পাকতে শুরু করবে। তখন হাওরের মেশিনগুলোই সেখানে ধান কর্তন শুরু করবে। শুক্রবার নাগাদ আশা করছি ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া হাওরের নীচু এলাকার প্রায় সব ধানই কাটা শেষ হয়ে গেছে। বাকি হাওরের ১০ শতাংশ ধান সেটা উঁচু জমিতে। ওই ধানটাও এরই মাঝে কাটা হয়ে যাবে।
এদিকে বোরো ধানে নেত্রকোণায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। হাওরে পানি আসার আগেই ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে থাকায় কৃষকেরা আনন্দিত। ধানের ফলনও ভাল হয়েছে। এলাকার সব বয়সের মানুষেরাই মাঠের পাকা ধান কাটা, মাড়াইয়ে কাজ করছেন। তারা পার করছেন ব্যস্ত সময়। কাঠা প্রতি ছয়-সাত মণ করে ধান পাচ্ছেন বলে জানান কৃষকরা।