করোনার পর এবার মারবার্গ ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করলো হু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সতর্ক করে জানায়, মারবার্গ ভাইরাস সম্পর্কে তাৎক্ষণিক এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দেরি করলে ভাইরাসটি সহজেই হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। এমনকি তা বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে। ঘানা আনুষ্ঠানিকভাবে মারবার্গ ভাইরাসের দুটি কেস নিশ্চিত করার পর এ সতর্কতা জানায় হু।
মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজ একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ যা রক্তক্ষরণজনিত জ্বর সৃষ্টি করে, এতে মৃত্যুর অনুপাত প্রায় ৮৮ শতাংশ। হু-র মতে, ইবোলা এবং মারবার্গ একই ভাইরাস পরিবারের। হঠাৎ করেই অসুখ শুরু হয় সঙ্গে থাকে উচ্চ জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা এবং শারীরিক অস্থিরতা। ভাইরাসটি বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয় এবং তারপরে সংক্রামিত মানুষের দেহের তরল অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণ হয়।
ঘানার দক্ষিণ আশান্তি অঞ্চলের দুজন রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর তাদের দেহের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ে এরা দুজনেই মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। রোগীদের দেহে ডায়রিয়া, জ্বর, বমি সহ একাধিক উপসর্গ দেখা গেছে। হু বলেছে, এই উপসর্গগুলি মারবার্গ ভাইরাসের সাথে মিলে যাচ্ছে।
গ্লোবাল হেলথ বডি ইতিমধ্যেই বলেছে যে মারবার্গ ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে এবং ঘানায় প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিকিৎসার একাধিক সংস্থান মোতায়েন রাখা হচ্ছে। মারবার্গ ভাইরাসের জন্য কোন অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই।